নির্বাচন ঘিরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। সেই সময়ে সিবিআই ইডি চিটফান্ড তদন্তে সক্রিয় হয়েছে। একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কে সমন পাঠিয়ে তলব করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নালিশ করা হয়েছে। কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কমিশনে তৃণমূলের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যেসব মামলা চলছে তার তদন্তে ভোটের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূল নেতা প্রার্থী মুখপাত্রদের সমন জারি করা হচ্ছে। একই অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপির নেতা প্রার্থীদের ডাকা হচ্ছে না। নির্বাচনের আগে তৃণমূল সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও বলা হয়েছে বাংলার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসছেন। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যে একাধিক মন্ত্রী প্রচারের জন্য আসছেন। সরকারি গাড়ি দপ্তর তারা ব্যবহার করছেন। যা ক্ষমতার অপব্যবহার। কমিশন এই দিকে নজর না দিলে আদর্শ আচরণবিধি কার্যত হাস্যকর হয়ে উঠবে। কমিশনে তৃণমূল জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য উত্তরপ্রদেশ বা বিজেপি শাসিত কোনো রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আনা চলবেনা।সেই রাজ্যের পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করতে পারে। সিবিআই ইডি এনআইএ ও আইটি কে জরুর নির্দেশ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।