Rajib Ghosh – অনেক বছর ধরেই ইস্তেহার কেবল একটা কাগজ। কিন্তু বিজেপি সরকার গড়ার পর এর বাস্তবায়ন হয়েছে। এইজন্য নাম দিয়েছি সঙ্কল্প পত্র। কারণ আমাদের সঙ্কল্প বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ব।এটা ঘোষণা নয় সঙ্কল্প। তাই এটা করার আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে নানা পদ্ধতির মাধ্যমে। অতীতে বাংলা ভারতের থেকে এগিয়ে থাকত। বাংলা থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়েছে। জনগণমন বন্দেমাতরম তৈরি হয়েছে এই বাংলাতেই। এখন বাংলা পিছিয়ে গেছে। বামেদের শাসন মমতা দিদির শাসনের পরিণাম এটা। এই কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। সেই ইস্তেহার প্রকাশের আগে তিনি এই কথা বলেন। ইস্তেহারের পোশাকি নাম সোনার বাংলা সংকল্প পত্র 2021 বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি যা বলে তাই করে তার চেয়ে বেশি করে। বিজেপির ইস্তেহারে রয়েছে।
মিশন আত্মনির্ভর মহিলা: মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য 5 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
মেয়েদের জন্য 33 শতাংশ আসন সংরক্ষণ।
রাজ্যের সমস্ত মেয়েকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং 18 বছর বয়স হলে 2 লক্ষ টাকা করে প্রদান করা হবে।
প্রথম ক্যাবিনেটে প্রত্যেক বাঙালি কে আয়ুষ্মান যোজনার লাভ পৌঁছে দেওয়া হবে।
সমস্ত গণপরিবহন মহিলাদের জন্য ফ্রি।
উত্তরবঙ্গ জঙ্গলমহল এবং সুন্দরবন এলাকায় তিনটি এইমস হাসপাতাল হবে।
প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন ব্যক্তি চাকরি পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে 75 লক্ষ কৃষকদের বার্ষিক আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি হয়ে 10 হাজার টাকা হবে।
সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হবে।
প্রতিটি ব্লকে কমিউনিটি স্পোর্টস সেন্টার প্রতিটি মহাকুমায় মাল্টি স্পোর্টস স্টেডিয়াম এবং প্রতিটি জেলায় ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
20 লক্ষ যুবকের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রতিটি ব্লকে নেতাজি ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হবে।
বিধবা ভাতা 1 থেকে বেড়ে 3 হাজার টাকা হবে।
প্রসূতিদের অনুদান 5000 টাকা থেকে বাড়িয়ে 9000 টাকা করা হবে।
শিক্ষিত যুবকদের কথা ভেবে প্রতিটি ব্লকে কাজ হবে।
কয়লা মাফিয়া বালি মাফিয়াদের বিচারের জন্য জন্য টাস্কফোর্স করা হবে।
মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক এবং নার্সের আসন দ্বিগুণ করা হবে।
পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন প্রাথমিকে 15000 এবং মাধ্যমিকে 20 হাজার টাকা করা হবে।
কলকাতায় দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক মাত্রা দেওয়া হবে। সারা দুনিয়ার পর্যটক আসবে।
রাজ্যের সব জায়গায় অন্নপূর্ণা ক্যান্টিনে 5 টাকায় খাবার মিলবে দিনে তিনবার।
রেশনে 30 টাকা কেজি ডাল 3 টাকা কেজি নুন এক টাকা কেজি গম এবং 5 টাকা কেজি চিনি বিক্রি হবে। এতে কোন কাটমানি থাকবে না।
মুর্শিদাবাদে মলমল রিসার্চ সেন্টার তৈরি হবে।
সকল ভূমিহীন কৃষক এবং ভাগচাষী কে প্রতি বছরে 4 হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।