নির্বাচনী প্রচারের জন্য এই গাড়ি তৈরি করা হয়েছে। যাতে এতে করে সমস্ত জায়গায় যাওয়া যায়। এতে সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। যাতে কোনো জায়গায় মঞ্চ তৈরি করে বক্তব্য রাখা যায়। সেই ব্যবস্থাও করা আছে। এই কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি নির্বাচনী প্রচারের জন্য একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। সেই গাড়ির ভিতরে সমস্ত রকমের সুবিধা রয়েছে বলে জানান তিনি। তাতে করেই নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করবেন। তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনি এটা প্রমাণ করলেন 10 বছরে কিছু করেননি। মানুষ দুইবার তাকে জিতিয়েছে। এখনো কেন মানুষের আশা পূর্ণ হলো না। আবার তিনি কায়দা করে চাইছেন 5 বছর ক্ষমতায় থাকতে। লকডাউন এর সময় দিল্লি থেকে যে রেশন দেওয়া হয়েছে সেই রেশন মানুষ পায়নি। তারা যদি বলে বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব কেউ বিশ্বাস করবে না। এখানে দোকানে গিয়ে রেশন পাওয়া যায়নি। সেখানে তারা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় জনসভা থেকে বলেছেন ক্ষমতায় ফিরলে রেশন দোকানে মানুষকে যেতে হবে না। তারা তাদের বাড়িতে গিয়েই রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না বলে জানান। দলীয় প্রার্থী তালিকায় ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, আগে কেউ দাঁড়াতে চাইতো না। এখন জেতার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে সকলেই প্রার্থী হতে চাইছেন। অনেকেই ভোট রাজনীতিতে যাননা। সংগঠনের জন্য কাজ করেন। কর্মীদের জন্য সেই সুযোগ-সুবিধা দল ক্ষমতায় এলে দেওয়া হবে। দলের প্রার্থী তালিকায় কিছু রদবদল হতে পারে বলে জানান দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ারে সভা করা নিয়ে দিলীপ বলেন, টিএমসির এবারের নির্বাচনী প্রতীক জোড়া ফুল বাদ দিয়ে হুইলচেয়ার করা উচিত ছিল। তাহলে ভোটটা সহজে পাওয়া যেত। যাদের 10 বছর পরে হুইলচেয়ার ব্যান্ডেজ দেখে ভোট নিতে হয় তাদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত। তৃণমূলকে আক্রমণ করে এই কথা বললেন দিলীপ ঘোষ।