লকডাউন এর সময় আমি নিজে ত্রাণ দিয়েছি। মোদীজি দেশের মানুষকে চালডাল খাদ্যশস্য দিয়েছেন। তিন মাস গ্যাস দিয়েছেন। ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে 500 টাকা পাঠিয়েছেন। তৃণমূল এখন মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে অ্যাকাউন্টে টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকা। নাম বদল করে নিজেদের নামে চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। যখন নির্বাচন আসে তখনই নন্দীগ্রামে আসেন। এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন দলীয় জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহীদদের নাম ভুল বলেন বলে জানান তিনি। সমস্ত শহীদের নাম তিনি বলে দিতে পারবেন বলে মন্তব্য শুভেন্দুর। এরপরে তিনি বলেন, 2006 সালের 4 ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রথমেই মহিলাদের নিয়ে মিছিল করেছিলাম। তখন কোথায় ছিলেন। খেয়েদেয়ে কলকাতায় অনশন করছেন। পর্দার ভিতরে ঢুকে যান খেয়ে নেন। তারপর এসে সামনে বসেন। কলকাতার খবরের কাগজে মাননীয়া বলছেন সেই সময় সিঙ্গুর থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য নন্দীগ্রাম। কোনদিন নন্দীগ্রামের জন্য মমত্ববোধ ছিল না। আজও নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত বলেন তিনি। 2011 সালের আগে বলেছিলেন নন্দীগ্রামে বাড়ি করে থাকবো। তন্ময় রায় চৌধুরী চোখে সানগ্লাস হাতে হ্যান্ড মাইক ভাঙ্গা বেড়াতে বলছে সরে যান সরে যান গুলি করবো। মাননীয়া তিনি সবচেয়ে বড় পোস্টে রয়েছেন। এখন বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি হয়েছেন। ইয়েস ম্যাম ইয়েস ম্যাম এটা বলতাম না। এই জায়গায় সমস্যা ছিল। তাই তিনি আজকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী হয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ করে রাজনৈতিক ভবিষ্যত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তিনি এটা করেছেন। এই লড়াই আমার নয় বাংলার গ্রামে থাকা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষের লড়াই বললেন শুভেন্দু। তার কথায়, পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাঙালিরা আছেন তারা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী কে জিততেই হবে। বলেছেন ঘরে ঘরে চাকরি দেব। শিল্প আনতে পারেননি। আগে বলতে হবে 10 বছরে কতগুলো চাকরি দিয়েছেন। মমতার ইলেকশন এজেন্ট প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ভোটে জেতার আগে যার রুচি এটা হয় তিনি যদি ভোটে জিতে যান তার রুচি কিহবে বুঝতে পারছেন তো। খুব সাবধান মাথায় টিপ গলায় কন্ঠি আর ধুতি কেউ পড়তে পারবেন না। যদি উনি জিতে যান। এরপরে তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন তিনি। চাকরি দেয়নি। 20 টাকা করে মদের পাউচ মমতা ব্যানার্জি পাড়ায় পাড়ায় দিয়েছে। লকডাউনে ওষুধের দোকান খোলা পাননি মদের দোকান খুলে দিয়েছে। এদিনের সভায় থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।