রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ তাদের মর্যাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বর্তমান ভবিষ্যৎ সবটাই নষ্ট করে দিয়েছে। 7 বছর ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ হয়নি। এবার প্রথম। 2014 সালে হয়েছিল। পার্থ চ্যাটার্জি শিক্ষা মন্ত্রী হওয়ার পর ডি পি এস সির ক্ষমতা কলকাতায় তুলে নিয়ে যায়। এটা একটা ইলেকটেড বডি ছিল। শিক্ষকেরা ভোট দিতেন। 2016 সালের পরে ট্রানস্ফার কলকাতায় তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা শব্দের মর্যাদাটা নষ্ট করে দিয়েছে। এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন নিমতৌড়িতে দলীয় জনসভায় যোগ দেন। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিজেপিতে যোগদান করেন। সেখানে শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোনো স্তরের কর্মচারীদের বিরোধিতা করেনি। আপনারা দেখুন ক্লাস ইলেভেন পর্যন্ত ট্যাব দেওয়া নেই। টুয়েলভে গিয়ে ট‍্যাব দিয়েছে। কারণ তারা ভোটার হয়েছে। ট্যাব বা মোবাইল ফোনের জন্য 10 হাজার টাকা করে যে ঘুষ দিয়েছে তার কারণ এই নতুন প্রজন্মের ভোটটা যাতে পাওয়া যায়। এই ভোট টা পুরো মোদীজির হয়ে গিয়েছে। এটা করে কোনো লাভ হবে না। এরপরে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে বলেন তিনি। সেখানে মেখলিগঞ্জ এর তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারীর মেয়ের প্রসঙ্গ বলেন। তার মেয়ে যোগ দেওয়ার দুদিনের মধ্যে নিয়োগ হয়। কিন্তু দুই নম্বরে থাকা মেয়েটি কে বাদ দেওয়া হয়। এই ব্যাপক দুর্নীতি আগে দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় প্রকল্প নাম পরিবর্তন করে এখানে চালানো হচ্ছে বলে জানান শুভেন্দু। আমার মেরুদন্ড সোজা।শোকজ করার ক্ষমতা হয়নি। তৃণমূল তাড়াতে পারেনি। আমি লাজে খেলাচ্ছিলাম। তিনটে বড় দপ্তরে পদত্যাগ দিয়ে বললাম এই রাখুন। সবাই ল্যাম্পপোস্ট আপনি একাই পোস্ট। আপনি সব রাখুন। নিজেই করুন। এদের তাড়াতেই হবে। কোনো উপায় নেই। কমিশনের ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য 400 টাকা করে ড্রেসের জন্য দেওয়া হয়। এখান থেকে আড়াইশো টাকা করে মারছে। শিক্ষামন্ত্রীর লোক জুতো সাপ্লাই দিচ্ছে। নিজের বুথের দায়িত্ব নিন। সব হারাতে হবে। সভায় জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।