ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সিনেমা সিরিয়াল এর অবস্থা খুবই খারাপ। তাই বিকল্প পেশা হিসেবে রাজনীতিকেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বেছে নিচ্ছেন। জানালেন বারাসাতের বিদায়ী বিধায়ক, অভিনেতা এবং তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তৃণমূল-বিজেপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলেই বেশ কিছুদিন ধরে এক ঝাঁক তারকা যোগদান করেছেন। এর আগে রাজ্যের নির্বাচনের ইতিহাসে এত তারকা প্রার্থী রাজ্যের মানুষ দেখেননি বলে জানা যায়। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে বহু অভিনেতা অভিনেত্রীরা যোগদান করেছেন। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সায়নী ঘোষ লাভলী মৈত্র কাঞ্চন মল্লিক রাজ চক্রবর্তী জুন মালিয়ার মতো বহু তারকা যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচুর চর্চা হচ্ছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকারা যারা রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানেন না তারা কিভাবে রাজ্য চালাবেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত খড়গপুর কেন্দ্র থেকে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় কে প্রার্থী করা হয়েছে। এইভাবে তারকাদের রাজনীতি যোগ নিয়ে চিরঞ্জিতের বক্তব্য, হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে যাওয়ার জন্য বিজেপি। আর বাকিরা সবাই তৃণমূলে। চিরঞ্জিতের কথায়, বাংলা সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। ছবি হচ্ছেনা। সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। করোনার জন্য অনুষ্ঠান নেই। তাই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিকল্প পেশা হিসেবে রাজনীতিতে আসছেন। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপি উভয় রাজনৈতিক দলই কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়। বিজেপি ও তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা। চিরঞ্জিত বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে যদি কাজ থাকতো তাহলে রাজনীতির ময়দানে তারকারা আসতেন না। চিরঞ্জিতের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।