রাজনৈতিক ময়দানে হিন্দু-মুসলমান শিখ খ্রিস্টান করিনা। যারা এই ধরনের রাজনীতি করতে চাইছে তারা নির্বাচনী বৈতরণী পার করার জন্য এই কাজ করছে। নন্দীগ্রামে যিনি প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালিক মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি সবসময় নন্দীগ্রাম কে হিংসা করেছেন। কারণ নন্দীগ্রামকে যদি গুরুত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দু প্রচার পেয়ে যাবে। এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নন্দীগ্রামের বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন। শুভেন্দু বলেন, খুব বড় বড় কথা বলেছেন। বলেছেন বেকার থাকবে না। শহীদ পরিবারের 6 টি পরিবার এসএসসির পরীক্ষায় পাস করেছিল তাদের চাকরি দেন নি। এই ভদ্রমহিলার জন্য নন্দীগ্রামের 30 হাজার লোক বাইরে থাকে। মধ্যপ্রদেশ উত্তরপ্রদেশ মহারাষ্ট্র কর্ণাটকে এখানকার মানুষেরা গিয়ে কাজ করে। এসব ঢপের চপ এখন আর কেউ খাবেনা। বলছেন বলো আমি দাড়াবো কিনা। সবাই বলছে দাঁড়াতে হবে। আমরাও বলছি দাড়াতে আপনাকে হইবেই এবং হারিয়া বাড়ি যাইতে হইবেই। এরপরে চিটফান্ডের টাকা প্রসঙ্গে তৃণমূলের নির্বাচনের বিষয়ে বলেন তিনি। সেই সময় তার ছবি বিক্রির কথা জানান। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চিটফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে বলেন শুভেন্দু। এবার নন্দীগ্রামের ভোটার হয়েছি। আগের দিন থেকে থাকবো। কোথায় মোটরসাইকেল বের হয়ে দেখব। ট‍্যা ফু করতে দেব না। ভোর পাঁচটা থেকে মাথায় টিকা কেটে দাঁড়াবো। বুথে বুথে যাব। আমার মুখ দেখে কোথায় ভোট দেয় দেখব বক্তব্যে বলেন শুভেন্দু। তার কথায়, এখন উনি ইনশাল্লাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। সব ধর্মকে সম্মান করি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম দিবসের অনুষ্ঠানে জয় শ্রীরাম বলেছে। বলে খারাপ কথা বলছে। আর ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। জানকীনাথ মন্দিরে রাম কে প্রণাম করছে। এরপরে ভগবান শিব প্রসঙ্গে সায়নী ঘোষের মন্তব্য তুলে ধরে তাকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বলে জানান শুভেন্দু। এরপর আগের দিনের দলীয় সভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রোচ্চারণ মোবাইলে সভায় উপস্থিত মানুষদের শোনান তিনি। তারপরেই মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, উলুবেড়িয়ায় সরস্বতী পুজো বন্ধ করেছিল কে? মানুষ উত্তর দেয় মমতা ব্যানার্জি। শুভেন্দু বলেন, 1 লা এপ্রিল সুদে-আসলে তুলতে হবে। শুভেন্দু আরও বলেন, মাননীয়া কে চ্যালেঞ্জ করছি 17 টা অঞ্চলের মধ্যে দুটো অঞ্চলের নাম বলুন। আমপানের কাটমানির টাকা যদি দেয় নিয়ে নেবেন। কিছু ছাড়বেন না। সব করুন। পশ্চিমবঙ্গে এবার পরিবর্তন হচ্ছে। বিজেপি আসছে। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অত্যাচারের বিবরণ বলেন তিনি। দড়ি ধরে মারো টান রানী হবে খান খান। তাইতো? তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 12 তারিখে মনোনয়ন জমা দেব সিংহবাহিনী মন্দির পুজো দিয়ে জানকীনাথ মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে জয় শ্রীরাম বলে। আমার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বাবুল সুপ্রিয় থাকবেন। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকব। শান্তি চাই। আপনারা সতর্ক থাকবেন। নন্দীগ্রাম কে যত রকম ভাবে ডিস্টার্ব করার চেষ্টা করবে। এরপরে নির্বাচনে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত বলেন শুভেন্দু অধিকারী।