তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সরলা মূর্মু কে। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় হবিবপুর থেকে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে সরলা হবিবপুরে দাঁড়াতে চাননি। তিনি মালদহ আসনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই কঠিন হবিবপুর কেন্দ্রে সরলা মুর্মু কে প্রার্থী করেছিল। তৃণমূলের একাংশ শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। এর পরেই জানা যায় সরলা মুর্মু বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে এদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তার এই বিজেপি যোগের জল্পনার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে সেখানে প্রদীপ বাক্সেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে প্রার্থী পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে তাপস রায় জানান, শারীরিক অসুস্থতা বলে অনেকেই সরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। আগে সরলা মুর্মু ছিলেন কংগ্রেসে। পরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয় গৌরচন্দ্র মন্ডলকে। তখন সরলা ছিলেন সাধারণ জেলা পরিষদ সদস্য। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মন্ডল বেশকিছু জেলাপরিষদ সদস্যসহ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। হবিবপুর এর সিপিএম বিধায়ক ছিলেন খগেন মুর্মু। তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হন। তার পরে সেখান থেকে জয়লাভ করে সাংসদ হন। হবিবপুরে উপ নির্বাচনে জয়লাভ করেন বিজেপির জুয়েল মুর্মু। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, জুয়েল এবার হবিবপুরে প্রার্থী হবেন। তার বিরুদ্ধে সরলার জেতা যথেষ্ট সমস্যাজনক। তাই তিনি পুরাতন মালদহ দাঁড়াতে চেয়েছেন। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরে প্রার্থী বদল হওয়ায় যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল।