দলের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। বসিরহাটে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। ওখানে আমার বাবা থাকেন। গত 5 বছর লাগাতার বাড়ি থেকে মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। কেন টিকিট দেওয়া হলো না। আমাকে সেটা জানাতে পারতো। আমার সঙ্গে সুব্রত বক্সী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালো সম্পর্ক। এটুকু আশা করেছিলাম। এই কথা বললেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবার তাকে প্রার্থী করেনি। সেই প্রসঙ্গেই নিজের ক্ষোভের কথা জানালেন তিনি। দীপেন্দু আরো বলেন, আমার পরিবারের ওপর প্রভাব পড়েছে। বাবা সব থেকে বেশি কষ্ট পেয়েছেন। আমি করোনার সময় রাত একটা পর্যন্ত এলাকায় কাজ করেছি। বাড়িতে এসে স্নান করে মেয়ের মুখ দেখেছি। একবার জানাতে পারত। এলাকায় পরিবারের একটা মানসম্মান রয়েছে তো। 2014 সালের উপনির্বাচনে তিনি প্রথম প্রার্থী হন। বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের কাছে তিনি হেরে যান। 2016 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফের প্রার্থী করেন। সেই নির্বাচনে শমীক ভট্টাচার্য কে 22 হাজার ভোটে তিনি হারান। তবে এবার তাকে প্রার্থী করা হয়নি। এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই ভাঙ্গড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। ভাঙ্গরে এবার প্রার্থী হয়েছেন চিকিৎসক রেজাউল করিম। এর পরেই আরাবুল ফেসবুকে লিখেছেন দলে আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। তারপরেই আরাবুলের অনুগামীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ভাঙ্গরে পাওয়ার গ্রিডের সামনে ব্যারিকেড করে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ তোলেন তারা। এই বিষয়ে আরাবুল বলেন বুথ থেকে উঠে আসা মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েছে। এই দলটাকে বুকে আঁকড়ে বড় করেছি। আজ ভাঙ্গড়ের মানুষ যেটা বলবে সেটাই করবো। দীর্ঘক্ষণ পর আরাবুল অনুগামীরা পথ অবরোধ তুলে নেন।