বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি নিজে কিছুদিন আগেই এই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তার পরেও আলোচনা চলছিল। তিনি শুধু নন্দীগ্রামে নাকি অন্য কোনো কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন। সেক্ষেত্রে ভবানীপুর কেন্দ্রের কথা আলোচনা হচ্ছিল। 2011 সালে সুব্রত বক্সী ভবানীপুর আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছেড়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আসনে উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী তৃণমূল সেখানে 3168 ভোটে এগিয়ে রয়েছে। আগের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে 25 হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন। ভবানীপুর আসন থেকে তিনি লড়াই করছেন না। তিনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করার পরেই শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ করেছিলেন যেকোনো একটি আসন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে প্রার্থী হতে হবে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন দুই জায়গায় দাঁড়াতে দেবনা। নন্দীগ্রামেই আপনাকে দাঁড়াতে হবে। পদ্ম ফুল নিয়ে যে দাঁড়াবে আধ লাখ ভোটে হারাবো। মমতা বন্দোপাধ্যায় তেখালির সভায় ঘোষণা করেছিলেন ভবানীপুর আমার বড় বোন। নন্দীগ্রাম মেজ বোন। যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়। সুব্রত বক্সী কে বলছি এটা মনোবাসনা। ভবানীপুর কে উপেক্ষা করছি না। তারপরেই বিজেপি নেতৃত্ব বলতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরেকটা নিরাপদ আসন খুঁজছেন। তবে জানা গিয়েছে মমতা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়ে চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন মমতা বলেই মনে করা হচ্ছে।