বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনীতির ময়দান সরগরম হয়ে উঠছে। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এবার বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু একে অপরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাট হাতে এসেছে। তৃণমূল সমর্থকরা হলেন বল। কারো চোখ রাঙানি মানব না। তেমন হলে চোখ উপড়ে নেবো। তার কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে। পুলিশের কাজ থানায় লেফট রাইট করা। সায়ন্তন এদিন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে দালালি করছেন। অনেক কর্মী গ্রামছাড়া। কান খুলে শুনে রাখুন। মহিষাসুরের মত দেখতে।আয়োডেক্স আর বারনল রেখে দিন। ভোটের দিন কিছু করতে এলে দামাদাম দেবে। এদিন বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে বলেন, অনেকে প্রশ্ন করছেন এই জেলায় একদিনে ভোট কেন? যত মানুষ তত কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে সায়ন্তন বলেন, প্রত্যেকদিন খবর দিন। দাওয়াই এর কাজ আপনাদের। রক্ষার কাজ আমাদের। যিনি বলেছেন খেলা হবে। খেলা শেষে চিত হয়ে শুতে হবে না। দাঁড়িয়েই ঘুমাবে। কেউ বন্দুক ছুড়লে তাকে ফুলের মালা ছুড়বো না। এই প্রসঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমরা ব্যাট ভালো চালাতে জানি। এমন ভাবে বল মারবো মাঠের বাইরে পড়বে এবং ছক্কা হয়ে বল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এদিন বীরভূমের খয়রাশোলে তৃণমূলের মহিলা সম্মেলনে সায়ন্তন বসুর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই কথা বলেন। সেখানে অনুব্রত আরো বলেন, প্রতিটি বুথের বাড়িতে বাড়িতে 4 জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে দিলেও বীরভূমে আমরা জিতব। অমিতাভ বচ্চন যেমন সিনেমায় শেষ কথা বলবে সেরকম রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা বলবে। বিজেপির উত্তরপ্রদেশে 14 জনে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করল বাবা প্রতিবাদ করেছে বলে গুলি করে মারা হলো। এদিন তাদের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.