Rajib Ghosh– রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী তালিকা তৈরি, নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচি সমস্ত কিছুর জন্য রাজনৈতিক দলগুলো কাজ শুরু করেছে। নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনের ইশতেহার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চূড়ান্ত কিছু প্রকাশ না হলেও খসড়া ইশতেহার সম্বন্ধে জানা গিয়েছে। রাজ্যের 294 বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মানুষের মতামত সংগ্রহ করছে বিজেপি। সেই মতামত সম্পূর্ণ এলে খসড়া ইশতেহার ঠিক করে চূড়ান্ত করা হবে। জানা গিয়েছে রাজ্যে এসএসসি পরীক্ষা পিটিটিআই প্রাইমারিতে নিয়োগ প্যারাটিচার সমস্যা বিজেপির ইশতেহারে এই বিষয়গুলি থাকছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো সংশোধন বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ নিয়মিত চাকরির জন্য নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি থাকছে। রাজ্যের এই সমস্যা নিয়ে বরাবর সরব বিজেপি। জানা গিয়েছে বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে চলেছে বিজেপি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিজেপি অবাঙালির সংস্কৃতি বলে বিরোধিতা করা হয়। তবে নির্বাচনী ইশতেহার এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। এছাড়াও সিএ এ এবং শিক্ষানীতি নিয়ে বিজেপি কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা, সি এ এ চালু করা, দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করা সহ অন্যান্য প্রস্তাব থাকছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান এবং শিল্প না আসা নিয়ে বিজেপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিবাদ করে। রাজ্যে শিল্প হয়নি। তবে এই নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে বিজেপি তৃণমূলের পথেই হাঁটতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। বন্ধ কারখানার জমি শিল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। জোর করে জমি নেওয়া হবে না। জমিদাতাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে 6 টি শিল্পপার্ক গড়া হবে। বিজেপির চূড়ান্ত নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ হলে সম্পূর্ণটা জানা যাবে।