Rajib Ghosh– পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। পুলিশ প্রশাসনকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তৃণমূল মানে এনামুল। এই মডেলকে সারা রাজ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই জন্য স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য তারা একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। করোনার থেকেও ভয়ংকর ভাইরাস তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। যাতে অপরের ভোট নিজেরা না দিতে পারে তার জন্য তাঁরা একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। যতক্ষণ ফলপ্রসূ না হচ্ছে ততক্ষণ বিশ্বাস নেই। সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় জনসভা থেকে এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হুগলির ডানকুনিতে রাজনৈতিক সভায় যোগ দেন তিনি। নির্বাচন কমিশন রাজ্যে আট দফায় ভোট করানোর যে প্রস্তুতি নিয়েছে সেই বিষয়ে তিনি একটা উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। যাতে রাজ্যের মানুষ ভোট দিতে পারে। সেই কারণেই এই উদ্যোগ। সেই জনসভা থেকে শুভেন্দু আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছু দাবি করতে চাই। গণতন্ত্রপ্রিয় রাজনৈতিক দল এই দাবিগুলোর সঙ্গে একমত হবেন। নবান্নে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে যে নির্বাচনী সেল খোলা হয়েছে সেটা রাখা যাবে না। নবান্নে দলীয়করণ করা সেই প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পক্ষ থেকে হচ্ছে। প্রশান্ত কিশোর টুইট করেছেন। 2 মে আপনাকে চলে যেতে হবে। এটা লিখে রাখুন। নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লাইভে সভা করেন তখন আধিকারিকদের নাম ধরে ডাকেন। আর তারা ম্যাম ম্যাম করেন। এই ম্যাম ম্যাম করা লোকেদের বসিয়ে ইলেকশন সেল করা যায় না। ওখান থেকে সেটা তুলে দিতে হবে। সিএম অফিসে যে ডব্লিউ বিসিএস অফিসার বসে আছেন তাদের কাজ হচ্ছে এসডিও, এসডিপিও সহ আধিকারিকদের ফোন করে প্রভাবিত করা। এটা বন্ধ করতে হবে। 100 এর বেশি পৌরসভায় প্রশাসকের নামে দলের নেতাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে বলেন শুভেন্দু। রাজ্যের পৌরসভা গুলিতে রাজ্য সরকার প্রশাসক বসিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেন। শুভেন্দু আরও বলেন, প্রত্যেকটি থানায়, রাজ্যস্তরে সিআইডি, আইবি, প্রত্যেকটি বিরোধীদলের নেতাদের কথা শোনে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের কথায় বিরোধীদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে প্রশাসনের খোলনলচে বদলে ফেলতে হবে। আরাবুল শওকাত জাহাঙ্গীর এর মত যে মডেল তৈরি করা হয়েছে এদের কে সামনে রেখে কখনো অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। এবারের নির্বাচন অবাধ এবং গণতান্ত্রিক মুক্ত পরিবেশে হবে বলে জানান শুভেন্দু। এরপরে ম্যাডাম নারুলা, বালি ঘাটের দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন তিনি। সিঙ্গুরে শিল্প-কৃষি কোন কিছুই হয়নি। কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের নাম বদল করা হয়েছে। শিল্প নেই, উন্নয়ন নেই, শুধু বেকারত্ব। ভোট করাতে হবে। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠন হবে। দলীয় জনসভা থেকে জানালেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।