Rajib Ghosh– সরস্বতী পুজোয় যোগ দিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত বলে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, তেহট্ট এলাকায় স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছেলেমেয়েরা সরস্বতী পুজো করার দাবি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তাদের পুলিশের লাঠি পর্যন্ত খেতে হয়েছে। কি ধরনের সরকার রাজ্যের ক্ষমতায়? কখনো সরস্বতী পুজো বন্ধ করে দেয়। কখনও আবার চালু করে দেয়। এখন আবার পার্টির পক্ষ থেকেই সরস্বতী পুজো করা হচ্ছে বলে জানা গেল। সরস্বতী পুজো বন্ধ করে যে পাপ করেছিল তার প্রায়শ্চিত্ত করছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, এই এলাকার স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার পরে বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা সরস্বতী পুজো করার দাবিতে রাস্তায় নেমে দাবি জানিয়েছিল। এমনকি সেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল বলে বিরোধীদের অভিযোগ। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সামনে এসে এবার সেই প্রসঙ্গ তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল সরকার ভোটের স্বার্থে যখন যেভাবে প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্ত নেয় বলে বক্তব্য তার। দিলীপ এদিন আরো বলেন, যখন একটা শ্রেণীর ভোটের দরকার ছিল তখন সরস্বতী পুজো বন্ধ করলো। আর এখন যখন আরেকটা শ্রেণীর ভোটের প্রয়োজন হয়েছে তখন সরস্বতী পুজো চালু করে দিয়েছে। রাম এবং দুর্গাকে নিয়ে লড়াইয়ে নামছে। ভগবান রামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য দুর্গাপূজা করেছিলেন। ভোটের জন্য নামিয়ে আনা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর সকলকেই ভোটের রাজনীতির জন্য নামিয়ে আনা হচ্ছে। পূজা পাঠের মধ্যে রাজনীতি আনা উচিত নয়। প্রত্যেকে নিজের নিজের ধর্ম পালন করবেন সেটাই হওয়া উচিত। এরপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে দিলীপ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্র বলার চেষ্টা করেন। ভুলভাল বলেন। কারণ কোনদিন তো মন্ত্র বলেননি। শুধু গালাগালি দিয়েছেন। এখন বলতে গেলে কি হয়? প্রশ্ন দিলীপের। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রাজ্যের শিক্ষকরা একাধিক দাবি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেগুলো পালন না করে আবার নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সরকার কত নিচে নামতে পারে। সার্বিক উন্নয়নে একমাত্র বিজেপিই করতে পারে বলে জানান দিলীপ ঘোষ।