Rajib Ghosh– ভাষার এই ধরনের ব্যবহার এর আগেও হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক রাজ্যের ক্ষমতায় যারা আছেন তারা এইভাবে ধর্মকে চমকে বিরোধীদের বন্ধ করার চেষ্টা করেন। আমরা যারা রাজনীতিতে আছি তাদের প্রত্যেককেই এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যাতে আগামী দিনে বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট না হয়ে যায়। Campaign Calling Media-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি TMC সাংসদ এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে তোর বাপকে গিয়ে বল এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন। তার পাল্টা বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করছেন। এই প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই কথা বলেন। তার বক্তব্য গরুর দুধে সোনার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, গরুর দুধে সোনা আছে কিনা সেটা বিজ্ঞানীরা বলবে। আমি গরুর দুধ খাই। আমি জানি। তাদের বোধোদয় হবে দেরিতে। তবে আমার বিরুদ্ধে বলার কী আছে? কিছু বলতে না পারার জন্য আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এই কথা বলা হয়। অনেকেই আছেন এই ধরনের আহাম্মক। এই ধরনের লোক সরকারি দলে বেশী আছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ এখন ক্যারিকেচার এ পরিণত হয়েছে। তার বক্তৃতা নিয়ে কমেডি হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদটিকে নিচে নামিয়ে দিয়েছেন মমতা। নির্বাচন আসলে বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলেন। মানুষকে বোকা বানাবার চেষ্টা করেন। কারণ প্রকল্প ঘোষণা করে দেন অথচ তার জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে সেই বিষয়ে কোন দিক নির্দেশ থাকেনা জানান দিলীপ। তার কথায়, মমতা অনেক কথা বলেন। CAA লাগু হয়ে গিয়েছে। সেটা কার্যকর হবে। এর আগেও তিনি নোট বন্দির সময় প্রস্তাব পাস করেছিলেন কিছু করতে পারেননি। বহিরাগত প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ওনার কথার কোনো মূল্য নেই। আগে যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন তার নেতারা এই রাজ্যে আসতেন। ফলে বিজেপিকে আটকানোর মতো কোনো শক্তি এখন তার নেই। তাই তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে পিছিয়ে। নরেন্দ্র মোদি যত প্রকল্প করেছেন তার সুফল তারা পেয়েছেন। অনেক সংখ্যালঘু ব্যক্তিরাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারা এখন বুঝতে পারছেন। অসমে 34 শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন সেখানে BJP সরকার গঠন করেছে। এরকম অনেক রাজ্য আছে। ফলে তারা বুঝতে পেরে এগিয়ে আসবেন। বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে, জাতির ভিত্তিতে কখনো উন্নয়ন করে না। সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়ন করতে চায়। TMC-র অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপের জবাব, দলে যখন কেউ থাকে তখন তার সুবিধা সবাই পায়। দলের ভিতর চাকর-বাকরের মত ব্যবহার করলে কেউ থাকতে চায় না। আর তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙতে শুরু করেছে। রাজ্যে বিজেপি 200 আসনে জয়লাভ করবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।