Rajib Ghosh– রাজ্য সরকার স্থায়ী চাকরি তুলে দিয়ে চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে নিয়োগ করার বন্দোবস্ত করেছে। আজ পর্যন্ত রাজ্যে একটিও শিল্প তৈরি হয়নি। ফলে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র নেই। রাজ্যে কাজের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার। এই ভাবেই ঝাড়গ্রামের দলীয় জনসভা থেকে মমতার সরকারের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। BJP-তে যোগদান করার পর থেকে তিনি রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রত্যেকটি দলীয় সভাতে। সেখানে কর্মসংস্থান, শিল্প তৈরি সহ একাধিক বিষয়ে তাকে বলতে শোনা যায়। দিল্লিতে অমিত শাহের হাত ধরে BJP-তে যোগদান করার পরেও তিনি বলেছিলেন রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের কথা তিনি জানিয়েছেন। এদিন দলের সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প রাজ্য নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা যেটা অন্য রাজ্যে মোদি ঘর বলা হয় সেটা এখানে বাংলা আবাস যোজনা বলে চালানো হচ্ছে। 2021 এর নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলা আবাস যোজনা নাম আর থাকবে না। রাজ্য সরকার সামাজিক প্রকল্প তৈরি করছে। সেই প্রকল্পগুলি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা কিভাবে টাকা আত্মসাৎ করেছে তার জবাব রাজ্যের মানুষকে দিতে হবে। 2021 এ তৃণমূলকে বাংলা ছাড়া করতে হবে।Rajib পানীয় জল, সেচ ব্যবস্থা নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করেন। সেখানে তিনি রাজ্যের দক্ষতা সম্পন্ন শ্রমিকরা এখানে কাজ না পেয়ে অন্যান্য রাজ্যে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। এরপরে রাজীব ব্যানার্জি বলেন, রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে, শ্রমিকদের উন্নয়ন করতে হলে, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান দিতে হলে কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। তাই অনেক স্বপ্ন নিয়ে TMC ছেড়ে BJP-তে এসেছি। যাতে বেকার যুবকদের হাতে চাকরি দিতে পারি। শ্রমিক কৃষকদের উন্নয়ন করতে পারি। এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার শ্রী নাম দিয়ে যতগুলি সামাজিক প্রকল্প তৈরি করেছেন আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তার থেকে অনেক বেশি সামাজিক প্রকল্প তৈরি করতে পারবে। এরপরে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবিরের তৃণমূলে যোগদান এর প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন রাজীব। পাশাপাশি রাজ্যের মানুষের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য BJP-কে ক্ষমতায় নিয়ে আসুন। এদিন তিনি সেই শ্লোগান দেন চুপচাপ পদ্মে ছাপ। ঝাড়গ্রাম এর জনসভা থেকে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।