Rajib Ghosh– 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হয়। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যজুড়ে TMC-র একাধিক MP,MLA, নেতারা BJP-তে যোগ দিচ্ছেন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তৃণমূল ছাড়ার আগে প্রবীর কানাইপুরের পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদব এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার বক্তব্য ছিল তাকে হারানোর জন্যই বিভিন্ন রাস্তা সারাইয়ের কাজ করা হচ্ছে না। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন প্রবীর ঘোষাল। এদিন কোন্নগরে TMC-র কর্মী সভা ছিল। সেই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন MP কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি জেলা TMC সভাপতি দিলীপ যাদব সহ অন্যান্য নেতারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছেলাল যাদব। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বলেন MP,MLA- রা সবাই ভোটে হেরে যাবে আর কানাইপুরে শুধু তুমিই জিতবে এটা হবে না। MP ভোটে হার হয়েছে। MLA ভোটে 4 হাজার ভোটে জেতাতে হবে। এই কথা শুনে আচ্ছেলাল যাদব বলেন, যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে বলুন। তারপরেই কল্যাণের সঙ্গে আচ্ছেলালের রীতিমতো উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। আচ্ছেলাল বলেন, এখানে ডেকে এনে অপমান করা হচ্ছে। তার অনুগামীরা তখন স্লোগান দিতে থাকেন। প্রসঙ্গত, আচ্ছেলাল যাদব এর কাছে বেশ কিছুদিন আগে BJP MP অর্জুন সিং এবং শঙ্কুদেব পণ্ডা গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এ দিনের ঘটনার পর আচ্ছেলাল যাদব বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলে সমস্যা শুরু হয়েছে। উনি দলকে দুর্বল করছেন। হয়তো উনি BJP-তে চলে যাবেন। কিন্তু আমরা TMC-তে থাকব। কর্মীসভায় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এরপর কানাইপুরের পঞ্চায়েত প্রধান আচ্ছেলাল যাদব সেখান থেকে চলে যান। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কর্মী সভায় এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলকে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।