Rajib Ghosh– রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর শ্রমিক বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যান। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের সময় রাজ্যের পুলিশ কোনো কাজ করতে পারেনি। সামরিক বাহিনীকে উদ্ধার কাজ করতে হয়েছে। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বারুইপুরের জনসভায় BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন। আমফানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দেওয়া এক হাজার কোটি টাকা কিভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন Suvendu তার কথায়, 20 হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য লন্ঠন জ্বালিয়ে লিস্ট করেছে কারা? প্রতিটি ঘরে ছটা করে সেই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যখন মানুষ পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেছে, ব্লক অফিস ঘেরাও করেছে, তখন যারা ক্ষিপ্ত রয়েছে তাদের 5 হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। কেন 5000 টাকা করে দেওয়া হবে? কেন্দ্রের দেওয়া বাকি 15000 টাকা আদায় করার জন্য রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে ঘোষণা শুভেন্দুর। TMC-র বহু দুর্নীতির বিষয়ে তুলে ধরেন তিনি। Suvendu বলেন, গরু নেই অথচ টাকা নেওয়া হয়েছে। পানের বরজ নেই সেই খাতে টাকা দেওয়া হয়েছে। আমফানের টাকা চোর, লকডাউনে চাল চোর, ত্রিপল চোর, পরে যখন নরেন্দ্র মোদি টিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তখন সেই টিকাও চুরি করেছে এরা। এর পরেই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা থেকে যে প্রথম পরিবর্তন শুরু হয়েছিল সে কথা মনে করিয়ে দেন। তার পরেই বলেন, থানার ওসি আইসিরা প্রত্যেককে ডেকে বলে যুব তৃণমূল কর। তৃণমূল কংগ্রেস করা যাবে না। কারণ লাল চুল কানে দুল। কয়লার টাকা কার কাছে যায়। ম্যাডাম নারেলা কে। তৃণমূল মানেই এনামুল। এইভাবে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন শুভেন্দু। সভামঞ্চে তিনি একটি বোর্ড তুলে দেখান। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, সকাল বেলার কাগজগুলো বিশ্বাস করবেন না। রাজ্যের কর্মচারীদের টাকা দিতে পারছে না সরকার। অথচ শয়ে শয়ে কোটি টাকা এই কাগজগুলো কে দিচ্ছে। আর তারা প্রতিদিন মিথ্যা প্রচার করছে। যুগশঙ্খ ছাড়া অন্য কোনো প্রিন্ট মিডিয়াকে বিশ্বাস করবেন না আপনারা। ঘরে ঘরে যুগশঙ্খ পড়ুন মোদিজীর বার্তা পাবেন। রীতিমতো নাম করে সংবাদপত্র পড়ার জন্য মানুষের কাছে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী।