Rajib Ghosh– তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার এর বিধায়ক দীপক হালদার। দীর্ঘদিন ধরেই দীপক হালদার এর সঙ্গে TMC-র দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। একাধিকবার দীপক অভিযোগ করেছেন তিনি MLA হলেও প্রশাসন তাকে এড়িয়ে সমস্ত কাজ করছে। সরকারের কোনো অনুষ্ঠানেও তাঁকে ডাকা হয় না। এদিন তিনি দুটি ইস্তফাপত্র দুইটি ঠিকানায় পাঠিয়েছেন। দলের সদর কার্যালয় তপসিয়া তৃণমূল ভবনে একটি আরেকটি পাঠিয়েছেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি এবং রাজ্যসভার MP শুভাশিস চক্রবর্তীর বাড়িতে। দীপক হালদার জেলা রাজনীতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামী বলেই পরিচিত ছিলেন। বাম জমানায় TMC-র সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য যে কিছু নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে কাজ করতেন তাদের মধ্যে দীপক ছিলেন। 2011 সালে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে তিনি MLA হন। তারপরে 2015 সালের 16 ই সেপ্টেম্বর তৃণমূল তাকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করে। কিন্তু কিছুদিন পরেই 2016 সালে ফের দীপক হালদার কে ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রার্থী করা হয় এবং তিনি জয়লাভ করেন। দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্য রাজনীতিতে দীপক হালদার এর BJP-তে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ 5 জন TMC ছেড়ে BJP-তে যোগদান করেছেন। এই প্রসঙ্গে দীপক বলেন, চিঠি দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা দলকে জানিয়ে দিয়েছি। তবে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব। ডায়মন্ড হারবারের MP অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নেতৃত্বে জেলায় যুব সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী। অনেকের মতে সেই কারণে দীপক হয়তো দলে সেই ভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। হাওড়া ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে BJP নেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতা এবং দক্ষিণ 24 পরগনা ফাঁকা করে দেব। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি শুভেন্দুর হুঁশিয়ারির কাজ শুরু হয়ে গেল? আর কোন কোন বিধায়ক নেতারা TMC ছাড়েন সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.