Rajib Ghosh– শুনছি দিদি নাকি ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন। তাই শুভেন্দু বলছেন হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে দিদিও জানেন বাংলায় পদ্ম ঘরে ঘরে। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সভা মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বক্তৃতার শুরু থেকেই তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সরকার কে। স্মৃতি ইরানি বলেন, জয় শ্রীরাম এর মতো স্লোগান শুনলে রেগে যায়। সেই দলে কেউ থাকতে চায় না। BJP-কে অনেক সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে যাতে বিকাশের গঙ্গা ঘরে ঘরে পৌঁছয়। লকডাউন এর সময় TMC লুঠ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেছেন। প্রতিটি পরিবারকে চালডাল দিয়েছে কেন্দ্র। সেটা চুরি করেছে TMC রেশন কার্ড চালু করেছে সরকার আর তৃণমূল কুপন দিয়েছে। মোদীজি যখন স্পেশাল ট্রেনের কথা বললেন মমতা বললেন করোনা এক্সপ্রেস। তাই আসতে দেননি। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢুকতে দেননি। যারা বাংলার বাইরে কাজ করতে গিয়েছেন তারা এখানকার মানুষ নন? আমফানের সময় 1 হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে TMC সেই টাকা লুঠ করেছে। গরিবদের প্রতি এত অন্যায় কেন করলেন দিদি? প্রশ্ন স্মৃতি ইরানির। তার কথায়, অমিত শাহ কৃষকদের তালিকা চেয়েছিলেন’ যাতে কৃষকদের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করেছে সেটা সরাসরি তাদের দেওয়া যায়। কিন্তু মমতা জানেন কাটমানি না দিলে কাজ হয় না। বাংলার মানুষ এবার পরিবর্তন আনবে। বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে। BJP-র সরকার ক্ষমতায় আসবে। এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। তিনি রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ করেন। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের বিজেপির এই কর্মসূচিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ 5 নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা অমিত শাহের হাত ধরে BJP-তে যোগদান করেন। বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করাই যে একমাত্র লক্ষ্য BJP-র সেটা দলের বিভিন্ন সভা থেকে নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।