Rajib Ghosh– বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নাট্যকর্মী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যোগদান করতে দেখা যাচ্ছে। এদিন কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার নাট্যকর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্পিতা ঘোষ এর উপস্থিতিতে তারা TMC-তে যোগদান করলেন। ব্রাত্য বসু বলেন, আজ থিয়েটারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে ধরনের কাজ করেছেন তাতে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়ে নাট্যকর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিলেন। অর্পিতা ঘোষ বলেন, BJP শিল্প-সংস্কৃতির মানুষদের পাশে দাঁড়ায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার থিয়েটারসহ শিল্প সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাট্যকর্মী শিল্প-সংস্কৃতির অন্যান্য মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহযোগিতা করছেন। কেউ এভাবে বাংলার থিয়েটার জগতের মানুষদের পাশে দাঁড়ায়নি। এটুকু বলা যায় আগামী দিনেও Mamata Bandyopadhyay এভাবেই শিল্প সংস্কৃতির মানুষের পাশে থাকবেন। জেলার বহু নাট্যব্যক্তিত্ব তৃণমূলে এলেন। প্রতিটি জেলায় থিয়েটার জগতের মানুষদের নিয়ে কনভেনশন করা হবে। 13 ই ফেব্রুয়ারি থেকে হবে জানান ব্রাত্য বসু। এরপরে উপস্থিত নাট্যকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ব্রাত্য বসু এবং অর্পিতা ঘোষ। এরপরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে Bratya Basu বলেন, রাজ্যপাল যদি সিঙ্ঘু সহ অন্যান্য বর্ডার সীমান্তে যে সমস্ত কৃষকরা বসে রয়েছেন তাদের জন্য কোনো কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঘোষণা করেন তাহলে ভালো হয়। পশ্চিমবঙ্গে তো রাস্তায় কোনো কৃষকরা বসে নেই। দিল্লিতে কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এই ধরনের ঘটনা ঘটল কেন? BJP থিয়েটার কর্মীদের জন্য বিভিন্ন গ্রান্ট বন্ধ করে দিয়েছে। নাট্যকর্মীরা বুঝতে পারছেন বিজেপি থিয়েটার বিরোধী। থিয়েটার যদি Expression of Art হয় তাহলে তার আর্টিস্টদের সন্দেহের চোখে দেখা শুরু হয়েছে। এরপরেই ব্রাত্য বলেন, রামচন্দ্রকে অপমান করাটা দোষের। হরিচাঁদ ঠাকুর কে অপমান করাটা তো দোষের। তাই তার একটু প্রতিবাদ করুন। কলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম হরিশচন্দ্র ঠাকুর বলেছেন তার জন্য অন্তত ঠাকুরনগরে অমিত সাহা গেলে তাকে যেন কালো পতাকা দেখানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু।