Rajib Ghosh– দলের মধ্যে যেহেতু ব্রাত্য তাই নিজেকে আর যুক্ত রাখাটা ঠিক বলে মনে করছি না। তাই হুগলি জেলার দুটি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। বললেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি হুগলি জেলার TMC কোর কমিটির সদস্য এবং জেলা TMC Spokesperson ছিলেন। সেই দুটো পদ থেকেই এদিন তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে 1982 সাল থেকে রয়েছি। দল ছাড়ার কথা ভাবি নি। বেশ কিছুদিন ধরেই দলের ভিতরের কার্যকলাপ নিয়ে সরব ছিলেন প্রবীর ঘোষাল। একাধিকবার প্রকাশ্যে তিনি তৃণমূলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতা করেছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের ছাত্র ছিলাম। আমার সুপারিশে কলেজ গভর্নিং বডি তৈরি হয়। কলেজে নতুন প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল 26 শে জানুয়ারি। সেই অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে MP কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। অর্থাৎ Prabir Ghosal-কে ডাকা যাবে না। শুধু দলীয় সংগঠনের পদ নয় তিনি MLA পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু MLA পদ ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আধার কার্ড, স্কলারশিপ সহ বিভিন্ন কাজে বিধায়কের সই দরকার হয় সাধারণ মানুষের। তাই বিধায়ক পদ থেকে এখন ইস্তফা দিইনি। শুধু এই কলেজের বিষয়টি নয়, উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন কলেজের গভর্নিং বডি তৈরি নিয়ে প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ, CM-এর নির্দেশ সত্ত্বেও গভর্নিং বডি তৈরি হয়নি। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর নির্দেশ মানা হচ্ছে না। রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। যাতে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে আমাকে হারিয়ে দেওয়া যায় সেই জন্য একটা চক্র কাজ করছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে হুগলি আসনে TMC-র যথেষ্ট খারাপ ফলাফল হয়। সেই প্রসঙ্গে প্রবীর ঘোষাল জানান, TMC-র অন্তর্কলহের জন্য লোকসভা নির্বাচনে হুগলি আসনে হার হয়েছে। সেই সমস্যা এখন আরও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, দলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের কাজকর্মে দলের কোনো উন্নতি হচ্ছে না বলেই বক্তব্য তার। তিনি জানান, ভালোমানুষ TMC-তে থাকতে পারবে না। যেদিন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল পদত্যাগ করেন সেদিন CM মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে ফোন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাকে অন্য কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করার বিষয়েও প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি রাজি নন দাবি প্রবীর ঘোষালের। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে TMC-র দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো বেড়ে যাওয়ায় সাংগঠনিক দিক থেকে ক্ষতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাওড়া জেলায় দুইজন Minister রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে MLA বৈশালী ডালমিয়া কে TMC বহিষ্কার করেছে। যতই নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই
ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 30 শে জানুয়ারি রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সফরে আসছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেদিন TMC-র কোনো কোনো পদাধিকারী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন। তবে সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। প্রবীর ঘোষালের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর BJP-তে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, BJP-তে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নি।