Rajib Ghosh– ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল। আগামীকাল 23 শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে আসার কথা রয়েছে। তার আগেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী এবং TMC নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে তার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ কে কেন্দ্র করে জোরালো জল্পনা শুরু হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন চলছিল। Facebook Live করে তিনি রাজ্যের সার্বিক ব্যর্থতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। বর্তমানে রাজ্যের যে সমস্যা সবথেকে বেশি সেই কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। TMC-র অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। তাই মনে করা হচ্ছিল হয়তো তিনি কোনো অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিছুদিন আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আরেক Minister লক্ষ্মীরতন শুক্ল। শুভেন্দু অধিকারীর অসন্তোষ কমানোর জন্য TMC নেত্রী মমতার পক্ষ থেকে যে ধরনের চেষ্টা শুরু করা হয়েছিল সেই রকম কোনো উদ্যোগ রাজীবের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। যদিও দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। TMC নেতা এবং পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজীবের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন শুভ্যেন্দুর মতো রাজীব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তাই দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। Rajib Bandyopadhyay প্রথমে সেচ মন্ত্রী ছিলেন। পরে তাকে অনগ্রসর কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রকের এবং বন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যদিও পরবর্তীতে দলের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সেই সময়ে জানানো হয়েছিল। রাজ্য রাজনীতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লর যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির রয়েছে। ফলে তারা যদি BJP বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন তাহলে সেক্ষেত্রে TMC-কে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হতে পারে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক TMC MP, MLA, নেতা-কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করছেন। যার ফলে TMC-রর সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে প্রায় প্রতিদিন ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামতে হচ্ছে। তবে তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো কাজে আসছে না। এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। জোর চর্চা শুরু হয়েছে, তবে কি গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়েছেন রাজীব? এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যদি BJP-তে যোগদান করেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।