শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা। রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিশেষ করে TMC-BJP একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণাতে শুরু করেছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নবান্ন দখল করাই একমাত্র পাখির চোখ। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পর থেকে রাজ্যজুড়ে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের MP, MLA, নেতা, জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে শুরু করেছেন। প্রায় প্রতিদিন কোনো না কোনো নেতা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আর সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে প্রতিদিন হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই রাজ্যে নির্বাচনে রাজ্যবাসীর সমর্থন তাদের পক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য রথ যাত্রার কর্মসূচির সূচনা করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। 294 টি বিধানসভা আসনেই ওই রথ যাত্রার পরিকল্পনা করার জন্য দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি J P Nadda 5 ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গে প্রচারে গিয়ে রথ যাত্রার সূচনা করবেন। দক্ষিণবঙ্গে সেখানে সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন Home Minister Amit Shah রথযাত্রা আয়োজনের জন্য বিজেপি নেতারা ৫ টি জোনে রাজ্যকে ভাগ করে নিয়েছেন। ৫ টি জোন থেকে আলাদা রথযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে প্রত্যেকটি বিধানসভা কে ছোঁয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। ৫ টি রথ এক স্থানে মিলিত করার পর সেখানে বড় জনসভা করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে রাজ্যে রাজনৈতিক প্রচারে এসে হামলার মুখে পড়েন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, গত কয়েক বছরে রাজ্যে বহু BJP কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যদি আমার উপরে এই ধরনের হামলা হতে পারে তাহলে সেখানে BJP কর্মীরা কিভাবে কাজ করছেন সেটা বোঝা যায়। এই বিষয়ে TMC MP সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, বিজেপির এক রথযাত্রার ফল দেখা গিয়েছে। হিংসা, গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্ত রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। প্রসঙ্গত, এর আগে দেশজুড়ে রাম মন্দির গড়ার ডাক দিয়ে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি রথ যাত্রার আয়োজন করেছিলেন। সেই রথ যাত্রার ফলে BJP রাজনৈতিক সাফল্য পেয়েছে। এবার নবান্ন দখলের লক্ষ্যেও সেই একই কর্মসূচির আয়োজন করতে চলেছে বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে গেরুয়া শিবিরের এই রথ যাত্রার আয়োজন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।