মধুকল্পিতা চৌধুরী : ‘‘আমি হাত জোড় করে বাবুলদার কাছে ক্ষমা চাইছি। উনি যেন ছেলেকে পুলিশে ধরিয়ে না দেন। ওর পড়াশুনার জীবন যেন শেষ না হয়ে যায়। ওকে ক্ষমা করে দিন’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে এমনই আর্তি করলেন যাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন বল্লভের মা রূপালি বল্লভ। বিগত তিন বছর ধরে মারণ রোগ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। তবে, যাদবপুরের ঘটনায় বদলে গেছে তাঁর জীবন। একরাতেই ঘুম উড়ে গেছে রূপালি দেবী। ক্যান্সারের যন্ত্রণার থেকেও এখন বেশি চিন্তায় ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আর সেই ভয় থেকেই বাবুল সুপ্রিয়কে আর্তি জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্য এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনাদের মাধ্যমে আমি আবেদন করছি, একজন ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের কথা ভেবে ছেলের এই অপরাধ যেন উনি ক্ষমা করে দেন। আমি শুনেছি উনি বড় মনের মানুষ। বহুকষ্টে ছেলেটাকে বড় করেছি।’’
রূপালি দেবীর এই আর্তিতে অবশ্য সাড়া দিয়েছেন‌ বাবুল সুপ্রিয়। এদিন ট্যুইট করে তিনি বলেন, ‘‘চিন্তা করবেন না মাসিমা। আমি আপনার ছেলের কোনও ক্ষতি করবো না।’’
এর আগে অবশ্য আসানসোলের সাংসদ জানিয়েছিলেন, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবাঞ্জন ওরফে পিকু নামের ছেলেটি আমাকে নিগ্রহ করেছে। আমরা তাঁকে চিহ্নিত করেছি। আমরা এই ছেলেটিকে খুঁজে বের করব। এরপর দেখতে চাই ‘নিগ্রহে’-এর জন্য মমতা সরকার কি পদক্ষেপ করে?’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নবীন বরণের অনুষ্ঠানে গিয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বাবুল সুপ্রিয়র চুল ধরে টানা হয়, চড়, ঘুসি মেরে জামা ছিঁড়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। এমনকি বাবুলের চুল ধরে টানার ছবিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া সহ সমস্ত মিডিয়ায়। এরপরেই ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন বাবুল সুপ্রিয় নিজেই।

https://youtu.be/vnwhv5vnGxQ