“বিজেপি ভেবেছিল আমি বোধহয় মরে যাব, তোমাদের মেরে আমি মরবো” বিজেপির বিরুদ্ধে এদিন এভাবেই সুর চড়ালেন অনুব্রত মন্ডল।
এদিন বীরভূমের লাভপুরের একটি জনসভায় যান তিনি। সেখানেই ফের একবার স্বমহিমায় ধরা পড়লেন অনুব্রত মন্ডল। সভামঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, “বিজেপি যদি মস্তান হয় তাহলে আমি ডন।”
উল্লেখ্য, বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা ও খুনের প্রতিবাদে বীরভূম জেলা জুড়ে প্রতিবাদ করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই প্রতিবাদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন,
“তুমি বড় বড় কথা বলছ, যেখানে সেখানে পথ অবরোধ করছো, শুনবো না। কালকেই জেলা মিটিং ডেকেছি, মিটিং করে আসার পর যেখানেই অবরোধ দেখবে প্রশাসন যদি সরিয়ে দেয় তো ভালো কথা নইলে আমাদের কর্মীরা সুটিয়ে সরিয়ে দেবে”।
এনআরসির বিরোধিতায় যখন পথে নেমেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন পিছিয়ে নেই অনুব্রত মন্ডলও। এদিনের জনসভা থেকে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে অনেক ধর্মের মানুষ আছে হিন্দু, মুসলমান, আদিবাসী এদেরকে পশ্চিমবাংলা থেকে তাড়িয়ে দেবে আমরা ছেড়ে দেবো, মোটেই ছাড়বো না। এটা মমতা ব্যানার্জি মেনে নেবে না।”
বিজেপি নেতৃত্বর একদিকে দাবি করছেন যে এরাজ্যে এনআরসি চালু হবেই। অপরদিকে তারই বিরোধিতা করে এদিন তিনি বলেন, “আমার জন্ম পশ্চিমবাংলায়, আমার বাবার জন্ম পশ্চিমবাংলায়, আমার দাদুর জন্ম পশ্চিমবাংলায়, আমার সন্তানের জন্ম পশ্চিমবাংলায় তাহলে আমি ভারতবর্ষের বাইরের কি করে হলাম। তুমি অনেক ১৯৭১ সালের দলিল চাইছো, কটা বাগদির বাড়িতে আছে ১৯৭১ সালের দলিল। দেখে নব, রুখে দাঁড়াবো, ছেড়ে কথা বলবো না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় জনসভায় হাজির হন অনুব্রত মন্ডল। সভায় লোক হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, লাভপুরের মানুষ কম, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি ভর্তি লোক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সভায়।