সব্যসাচী দত্তের গণেশ পুজোর বিশেষ অতিথি রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী। শুধু আসলেন চলে গেলেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। গণেশ পুজোতে এসে গানও গাইলেন তিনি, আর তার সঙ্গে সুরও মেলালেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। ‘’চাদভি কা চাঁদ হো, ইয়া আফতাব হো’’ মঞ্চে উঠে এই গানই ধরলেন কৈলাশ বিজয় বর্গী আর সঙ্গে সুর মেলালেন সব্যসাচী দত্ত! রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক এবং খাতায় কলমে এখনও তৃণমূলে থাকা সব্যসাচী দত্তের এহেন যুগলবন্দীতে জমে উঠল গণেশ পুজো। আর তার সঙ্গে সঙ্গে আরও একবার শুরু হলো ঘোর জল্পনা। খাতায় কলমে তৃণমূলে থাকলেও গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে তাঁর এতো মেলামেশায় এটুকু স্পষ্ট যে খুব শীঘ্রই পাকাপাকি ভাবেই পদ্ম শিবিরে যেতে চলেছেন তিনি। যদিও এবিষয়ে এদিনও অন্যান্য দিনের মতোই ‘স্পিকটি নটের’ ভূমিকা পালন করলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র।
শুরুটা হয়েছিল ‘লুচি-অলুর দম’ দিয়ে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় হঠাৎই পৌঁছে যান সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে। তখনও তিনি মেয়র পদেই বহাল ছিলেন। তবে, সেবারে শুধুমাত্র ‘লুচি-আলুর দম’ খেতেই নাকি ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান দাদা মুকুল রায়। এরপর বিদ্যুৎ ভবনে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ, দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েই চলেছিল সব্যসাচী দত্তের। শুধু তাই নয়, ব্যারাকপুরের আহত বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে দেখতে সোজা হাসপাতালে ছুঁটে যান তিনি। আর এবারে তাঁরই পুজোতে হাজির খোদ রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী। আর তাতেই আবারও ঘোর জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। একাংশের মত এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কবে পাকাপাকি ভাবে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি।