মুখ্যমন্ত্রী থেকে চাওয়ালা, নজির গড়তে চলেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ক্যাম্পেন কলিং মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে এমনি দাবি করলেন ন্যাশনাল সেক্রেটারি রাহুল সিনহা। এবিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তিনি এক সময় চা বিক্রি করতেন তবে এখন তিনি প্রধানমন্ত্রী তাই আর পেছনে ফিরে তাকান না বলেই জানান তিনি। তবে, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আর যদি থাকবে না। তখন তাঁকে কে বিক্রি করেই পেট চালাতে হবে এবং তার জন্যই এখন থেকেই অভ্যেস করছেন বলেই জানান তিনি।
‘সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ’ প্রকাশ্য সমাবেশে এমন দাবি বার বার করে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর এই দাবি প্রতিবার উড়িয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন তার ব্যতিক্রম হলো না। স্টেট ন্যাশনাল সেক্রেটারি রাহুল সিনহা বলেন, ‘সিপিএমের যত গুন্ডা সব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাদের পেটেন্ড নিয়েছেন তৃণমূল।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তৃণমূলে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা আরো একবার বলেন তিনি। তাঁর মতে, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে একমাত্র তৃনমূল। এমনকি বিরোধী দলের লোকেদের হত্যা করতে পিছুপা হয় না তৃণমূল, বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
এবিষয়ে এদিন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দল তৃণমূলকে খুন করেন একথা আপনি কখনো শুনেছেন?’
উর্দি পরিহিত আইপিএস অফিসার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে, এ ভিডিও ইতিমধ্যেই সকলেই দেখে ফেলেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন রাহুল সিনহা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর মতে, ‘একজন আইএস বা আইপিএস অফিসার যেকোনো সরকারের মেরুদন্ড। তাঁর আচরণ এরকম হলে বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায়!’
এমনকি বাংলায় আইন বলে কিছু নেই বলেই মন্তব্য করেন তিনি। সবটাই যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।