‘‘অর্জুনের মৃত্যু হলে মুখ্যমন্ত্রী আর একদিনও রাজ্য শাসন করতে পারবেন না’’ ক্যাম্পেন কলিং মিডিয়ায় এদিন এমনই বললনে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী। এদিন শ্যামবাজারে বিজেপির ধর্ণা মঞ্চে হাজির হন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক। সেখান থেকেই ফের একবার রাজ্য সরকারকে একহাত নেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গী। শুধু তাই নয়, এদিন প্রতিবাদ সভা থেকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে পুলিশকে দিয়ে জুতো পালিশ করাবো।’’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকের দাবি, পুলিশ বর্তমান শাসকদলের দলদাসের ভূমিকা পালন করছে। এমনকি তাঁরা ক্ষমতায় এলে পুলিশকে দিয়ে একই ভূমিকা পালন করাবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পরই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে সন্দেশখালিতে নিহত হন দুই বিজেপি কর্মী। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন শ্যামবাজার পাংচমাথার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিবাদ মঞ্চ থেকেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের মঞ্চ থেকেই কৈলাশ বিজয়বর্গী বলেন, ‘‘দিদি আপনি তো পুলিশের ভরসায় ক্ষমতায় আছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, পুলিশ কিন্তু কারোর হয় না। আজ আপনার জুতো পরিস্কার করছে, কাল আমরা ক্ষমতায় এলে আমাদের জুতো পরিস্কার করবে।’’
এদিনের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অর্জুন সিংকে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল। উনি বেঁচে গিয়েছেন। মুকুলকেও খুনের চেষ্টা করার চক্রান্ত করা হচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলার পর থেকেই এই অভিযোগ করে আসছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে এই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও।