কাটমানি প্রসঙ্গে এবারে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। এদিন ক্যাম্পেন কলিং মিডিয়ায় একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সব থেকে বেশি কাটমানি আছে ভাই ভইপোর কাছে, আর আছে মেয়র ববি হাকিমের কাছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এমনকি কলকাতায় বেআইনি নির্মাণের একটা রমরমা বাজার আছে বলেও দাবি করেন তিনি। দাপুটে নেতা রাকেশ সিং এদিন আক্রমণাত্মক সূরে বলেন, ‘পুলিশকে আগে ৬০০ টাকা করে স্কোয়ার ফুট দিয়ে দাও। ৪০০ টাকা ববিদার কাছে নিয়ে যাবে। মানে পুলিশের ওসিরা দিয়ে দেবেন।’ এমনকি ক্যামেরার সামনে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সূরে তিনি বলেন, যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হোক। এমনকি তিন মাসের মধ্যে কি ভাবে বিল্ডিংয়ের পর বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
একদা কংগ্রেসের এই দাপুটে নেতা লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর থেকেই তিনি একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ করেন রাকেশ সিং।
এবারে আসা যাক শহরের নামজাদা এক পাঁচতাঁরা হোটেলের কথায়। বাইপাসের ধারের এই বিলাশবহুল ‘আইটিএস সোনার বাংলা’-এয় এতদিন তৃণমূল ও কংগ্রেসের দুটি শ্রমিক সংগঠন ছিল। তবে, বেশ কিছুদিন আগেই রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বে ওই শ্রমিক সংগঠন বিজেপির আওতায় চলে আসে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘২০০৩ থেকে আমার রাজনীতিতে প্রবেশ। আর শ্রমিক সংগঠনের মাধ্যমেই আমি রাজনীতিতে পা রাখি। সেকারণেই শহরের বড়ো বড়ো কিছু সংস্থার ইউনিয়নের সঙ্গে আমি যুক্তি ছিলাম।’
শ্রমিক সংগঠন করা হয় তাঁদের ভালোর জন্যই। তবে, এখানকার ক্ষেত্রে তা একেবারেই উল্টো বলেও জানান তিনি। তাঁর দাবি, ‘এখানে সংগঠনটা শ্রমিকের জন্য করতে করতে দেখা যায় যে নেতারা মালিক পক্ষের হয়ে যায়। আর শ্রমিককে ভুলে যায়।’ এমনকি এক্ষেত্রে মালিকপক্ষের উত্থান হয়ে যায় কিন্তু শ্রমিকদের উত্থান কোনও ভাবেই হয় না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।