মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীরের পাল্টা বান দিলীপ ঘোষের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্টা দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনেন। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিজেপি নেতৃত্বর দিকে। চুপ থাকেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতিও। কাশ্মীর থেকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতিটি প্রশ্নের পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্টা দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিদিন এজেন্সির নাম করে প্রত্যেকটা বিধায়ককে ডাকছে, প্রত্যেকটা মন্ত্রীকে ডাকছে। এই করে কতদিন একটা পার্টি চলবে?’ এমনকি এভাবে কতদিন এদেশ চলতে পারে বলেও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতার এই প্রশ্নের পাল্টা বান দেন দিলীপও। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের ওপর অভিযো সবথেকে বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন। আমাদের প্রায় ৫০ হাজারের বেশি লোকের ওপর কেস আছে, ২৮ হাজারের বেশী কেস চলছে। কিছু বলতে গেলেই আমার ওপর কেস হচ্ছে।’ এমনকি পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়েও এদিন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, কাশ্মীর নিয়ে কেউই মুখ খুলতে পারেনি। এমনকি কোনও মিডিয়াকেও নাকি সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এখানেই থেমে থাকেননি তৃণমূল নেত্রী। বন্দুকের নল দিয়ে সকলকে চেপে রেখে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষের পাল্টা জবাব, ‘ওনার বক্তব্য কি আছে? মিডিয়াই তো কাশ্মীর নিয়ে খবর তুলে ধরেছেন। সারা দুনিয়ার খবর তুলে ধরেছেন।’ এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। ৩৭০ ধারার পক্ষে না বিপক্ষে তিনি এবিষয়ে পাল্টা মমতার দিকেই প্রশ্ন ছুড়ে দেন দিলীপ বাবু।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্টা দিবসের মঞ্চ থেকে ফের এক বার ডান বাম মিলে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে, এটা প্রথম নয়। এর আগেও বহু বার এই অভিযোগ আনেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তিনি আরও একবার বলেন, ‘সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ হয়ে গিয়েছে।’ এবিষয়ে তিনি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
মমতার এই কথার পাল্টা জবাবে দিলীপ বাবু বলেন, ‘আমি জানি না কে কার সঙ্গে আছে। বিজেপির কাউকে দরকার হয়না। পশ্চিমবঙ্গে জেতার জন্য বিজেপি একাই যথেষ্ট।’