‘ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে তৃণমূল পরতে চলছে। আজ ওদের বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট’ তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়ে কার্যত এভাষাতেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিতে এদিন এদিন ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন এরাজ্যে তাঁরা ৪২এ ৪২তাই আসন পাবেন। তবে, ভোটের ফলাফলে তা না হওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন রাহুল সিনহা। এদিন তিনি বলেন, ‘লোকসভা ভোটে যদি ৪২এ ৪২ আসনের দাবি করেন তাহলে, বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪এ ২৯৪ নয় কেন?’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তাঁর মতে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে এটা স্পষ্ট যে তৃণমূলে ২০২১এ আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। এমনকি লোকসভার ধাক্কা তৃণমূলের কাছে বড়ো ধাক্কা রূপে দেখা দিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
বিজেপি এরাজ্যে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তাই তৃণমূল কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই নাকি ২৫০টা আসনের কাহিনী শোনাচ্ছেন বলেও কটাক্ষ করেন রাহুল সিনহা।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যে আর বাংলার মানুষের সমর্থন পাবেন না তার দাবি আরো একবার করলেন প্রাক্তন রাজয় বিজেপি সভাপতি।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখের ভাষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল সিনহা। তাঁর মতে, ‘লোকসভা ভোটের ফলাফলে তিনি মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তাই তিনি এমন কিছু কথা বলছেন যা একজন মুখ্যমন্ত্রীর সমতুল্য মানুষের মুখে মানায় না।’
এদিন সিবিআই প্রসঙ্গ নিয়েও মুখ খোলেন রাহুল বাবু। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘সিবিআই যে কোনো মামলায় যে কাউকেই ডাকতে পারে। আইন আইনের পথে চলবে।’ এমনকি এবিষয়ে কারো কোনো মন্তব্য করা উচিত নয় বলেও দাবি করেন রাহুল সিনহা।