মিড ডে মিল নিয়ে ফের একবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন আইসিসিআরে এক সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ মিড ডে মিল কার ভরসায় চলছে, কিভাবে চলছে কেউ জানে না! লকেট চট্টোপাধ্যায় যাওয়ার পর বাসতব চিত্রটা সবার সামনে ফুটে ওঠে। আর এখন বলছেন টাকা নেই? এর জন্য তো কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ।’
আগামী ১১ই সেপ্টেম্বর বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। তারই আগে এদিন আইসিসিআরে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামাণিকও।
এদিনের এই বৈঠক শুরু আগেই মেদিনীপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। কেন্দ্র সরকার মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছেন। পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতের জন্যই এই খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু এরাজ্যের সরকার তার সৎ ব্যবহার করছেন না বলে অভিযোগ করেন দিলীপ বাবু। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সূর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কত জন বাচ্চা আছে, কত জন খাচ্ছে তার কোনও হিসেব নেই। লিস্টে একরকম আছে আর বাস্তবে চিত্রটা আরেকরকম।’
এদিন সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ৩৭০ ধারা নিয়ে এরাজ্যেও প্রচার করা হোক। এমনি ৩৭০ ধারা বিলোপের জন্য বাংলার মানুষ খুশী বলেও জানান তিনি।
একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বার বার খবরের শিরোনামে এসেছন দিলীপ বাবু। যদিও কোনও কিছুতেই তিনি পাত্তা খুব একটা দেন না তিনি। এদিন মেচেদার এক সভা থেকেও দিলীপ বাবুর মন্তব্যে নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। এবিষয়ে এধিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘হিংসা বন্ধ করার জন্য হিংসার প্রয়োজন আছে। নাহলে আমাদের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে।’
২০২১এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘ বিজেপি ২০২১-এ ক্ষমতা পরিবর্তন করবেই। তার জন্যই এতো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিনের এই সাংগঠনিক বৈঠক শেষে রাজ্য বিজেপির বেশ কিছু পরিবর্তনের ঘোষণাও করেন তিনি। দলে নতুন দায়িত্ব পেলেন মাহফুজা খাতুন ও ভারতী ঘোষ।