এরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফলের বেশ বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাসী রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। অপরদিকে লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবির পর বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই তো দলের নেতা মন্ত্রীদের একদিকে যেমন নির্দেশ দিয়েছেন জনসংযোগ বাড়ানোর ঠিক তেমনই উল্টোদিকে নিজেও সেই জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন। চালু করেছেন নতুন হেল্পলাইন নম্বর, সেখানে ফোন করে আপনি সরাসরি দিদির সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। তবে, এতে কি আদেও কোনও প্রভাব পড়বে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে?
এবিষয়ে হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তীদেব সেনগুপ্ত জানান, ‘ওকে তো মানুষ সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিল। এমন তো নয় যে জানাতে চায় নি মানুষ।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডের সময় মৌসুমি, টুম্পা তো তাঁদের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন। উনি তখন তাঁদের সিপিএমের দালাল, নকশাল বলে জঘণ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে উনি চলে এলেন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কোণঠাসা করতে ঝাড়গ্রাম থেকে শুরু করে আরও অনেক উদাহরণ টেনে আনেন। এই ৮ বছরে উনি কেন মানুষের কথা শোনেনি সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি এই ৮ বছরে তিনি যা যা করেছেন সেগুলো মানুষের সামনে ‘ফেস’ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
এবারে আসা যাক কাযমানি ফেরতের প্রসঙ্গ। যেদিন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরতের কথা বলেছেন ঠিক তারপর থেকেই একাধিক তৃমমূল নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ। তবে, ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির পরিবর্তে ব্ল্যাকমানি ফেরতের প্রসঙ্গস তুলে ধরেন। এবিষয়ে রন্তীদেব বাবু জানান, ‘ব্লাকমানি ফেরতের ঘোষণা তো বালো ঘোষণা। হরিশ মুখার্জী রোডে যেখানে একটি বড়ো বাড়িতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাড়বাতি কেনা হয়েছে, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে চলমান সিঁড়ি বসানো হয়েছে। বাড়িটির বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকা। একজন ৫ বছরের সাংসদের এত টাকা আসে কোথা থেকে? তার ব্ল্যাকমানি আগে পেরত দিতে হবে। তাঁকে আগে বলুন ব্ল্যাকমানি ফেরত দিতে, তারপর অন্য সবাই ব্ল্যাকমানি পেরত দেবেন।’