কাটমানি থেকে শুরু করে ভাটপাড়া প্রসঙ্গ এমনকি ভাটপাড়া প্রসঙ্গেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপির প্রদেশ কমিটির সদস্য নবীন মিশ্র। এদিন ক্যাম্পেন কলিং মিডিয়ায় এক সাক্ষ্যাতকারে তিনি বলেন, ‘টিএমসি মানে টিম মানি কালেকশন।’ এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কাটমানি ইস্যুতে এদিন তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন,
‘দেরিতে হলেও মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি প্রসঙ্গ তো টানলেন!’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন আক্রমনাত্বক সুরে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের যত ব্লক সভাপতি আছে, যত পঞ্চায়েত আছে সব দুর্নীতিগ্রস্থ। এরা সবাই জেল যাবে। তৃণমূলের ৯৯শতাংশ লোকই দুর্নীতিগ্রস্থ।’
হাসপাতাল থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভায় যেকোনো প্ল্যান পাশ করানোর জন্য এই দলের লোক টাকা নেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই সমস্থ রাজনৈতিক দল গুলোর পাখির চোখ ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি এরাজ্যে ১৮টি আসন পাওয়ায় বেশ কিছুটা আত্মবিশাসি তা বলাই বাহুল্য। অপরদিকে তৃণমূলের এই ভরাডুবির পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে দলীয় কর্মীদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এহেন পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসা নিয়ে আসায় রাজনৈতিক মহলে কম জলঘোলা হয়নি। তবে আদেও কি এই প্রশান্ত কিশোরের থিওরি কাজ করছে? এবিষয়ে নবীন মিশ্র জানান,’ওনার মনে হয় জানা ছিল না এই এই রাজ্যে এতটা নীচু স্তরে রাজনীতি হয়।’
এদিনের আলোচনায় ভাটপাড়া থেকে শুরু করে সন্দেশখালি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন তিনি।
‘জয় শ্রী রাম’ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘গণপ্রহার কখনোই সমর্থন করিনা। যে বা যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাঁরা প্রত্যেকেই দোষী।’