২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপি ভালো গোল করায় বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি যে ভালো ফল করতে পারে সে বিষয়ে এখনই সুট ছড়াচ্ছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। তবে, এই লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে আখেরে এ রাজ্যের মানুষের ঝুলিতে ঠিক কি এলো? তাঁদের প্রাপ্তি ঠিক কি হলো?
এবিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক সুজুট রায় বলেন, ‘সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মুকুল রায়কে নতুন ভাবে পাওয়া। এরাজ্যে এতদিন বিজেপিতে থাকলেও সেভাবে কিছু করতে পারেনি। তবে মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পরই তার অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ এদিন তিনি আরো বলেন, ‘তৃণমূল দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও আসল শক্তি ছিল মুকুল রায়।’ এরপর বেশ আক্রমণাত্মক সূরে বলেন, ‘গত ৫-৬ বছর ধরে এরাজ্যে বেআহ বিভাজনের রাজনীতি চলছিল। বিশেষ করে পাহাড় ও জঙ্গলমহলে এর প্রবণতা ছিল। তবে, এই নির্বাচনের পর তাতে বেশ ধাক্কা লেগেছে। পশ্চিমবঙ্গ আবার পশ্চিমবঙ্গতেই ফিরে এসেছে।’ বিজেপি ভালো ফল করায় মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সকলেই চাইবে যে এরাজ্যে ভালো কিছু হোক। এ বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক অশোক সেনগুপ্ত বলেন, ‘অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হোক, এরাজ্যের মানুষের এটা দাবি হতেই পারে। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে শিল্পায়ন। রাজ্যে শিল্পায়ন হোক, এটা সকলেই চাইবেন।’
তবে, আদেও কি সাধারণ মানুষের লাভ হবে? তাঁদের প্রত্যাশা কি আদেও পূরণ হবে? এর জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।