লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তথা জোটের এই ভরাডুবির কারণ হিসেবে যে তথ্যটি সবার প্রথমে উঠে আসছে তা হল ‘পরিবারতন্ত্র’। সাধারণ মানুষ কি তাহলে আর ‘পরিবারতন্ত্র’ মেনে নিতে পারছেন না? এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অরবিন্দ ব্যানার্জী বলেন, ‘কংগ্রেসের বংশ পরম্পরায় নেতা বা নেত্রী হয়েছেন। বাকি যারা ছিলেন তাঁরা কখনোই ন্যাশনালি ফোকাস্ট হননি। কংগ্রেস কর্মীরা ধরেই নেন যে উচ্চতম যে পদটি রয়েছে, তা গান্ধী পরিবার থেকেই হবে।’ এখানেই থেমে থাকেননি অরিন্দম ব্যানার্জী। তিনি বলেন, ‘যে কোনও পরিবারই হোক না কেন দেশকে কি দিয়েছে তা জানা নেই, তবে দেশের থেকে সম্পদ লুঠ করেতে পরিবারতন্ত্র প্রচুর সাহায্য করেছেন।’ রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে তিনি মুলায়ম-অখিলেশ, লালুপ্রসাদের উদাহরণও টেনে আনেন।
এরাজ্যেও কি পরিবারতন্ত্র ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে চলেছে? এপ্রশ্নের উত্তরে সমাজকর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনোই পরিবারতন্ত্র মেনে ‌নেবেন না। তৃণমূল দলের মধ্যেও একাংশের বিক্ষোভ আছে। এই অবিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তৃণমূল দলটির ক্ষতি হচ্ছে।’
এবারে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের এই ফলাফলের পর বুদ্ধিজীবিদের অবস্থান ঠিক কি হতে পারে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এ প্রসঙ্গে সমাজকর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওনারা বুদ্ধিজীবি নয়। ওনারা সবাই সুবিধাজীবি।’ এমনকি অনেক বুদ্ধিজীবিরা নাকি ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবি করেন তিনি।