নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে লেগেছে দলবদলের হাওয়া। যার প্রত্যক্ষ উদাহরণ হলেন মুকুল রায়। সেই তালিকায় একে একে যুক্ত হচ্ছেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় কি যুক্ত হতে চলেছেন সৌমিত্র খাঁও? সেই প্রশ্নের উত্তর অদূর ভবিষ্যতে যাই হোক না কেন, আপাতত বিজেপি যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। এদিন সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করব না। অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখানোর। এগুলো নজরে না নেওয়াই ভালো। ২০১১ সালে যখন সৌমিত্র জোটের প্রার্থী ছিল তখন আমিও ওর হয়ে প্রচার করেছি। আমি সৌমিত্রর শ্রীবৃদ্ধি চাই। রাজনীতিতে যদি ওর কোন আমার সহযোগিতা চায় তাহলে আমি সহযোগিতা করব”। এ ব্যাপারে একজন সাংসদ মন্তব্য করেছেন, “এই বিষয়ে পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেব না”। এছাড়া তিনি আরো বলেন “সৌমিত্রকে আমার নিজের রাজনৈতিক সতীর্থ মনে করি আমি দিল্লি গেলে সৌমিত্র খাঁ বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করি অতএব সৌমিত্র কি বলল এটা নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না এটা কোন ব্যাপার নয় দলের সাংগঠনিক বিষয়ে যুব মোর্চা থাকব না কিন্তু আমি বিজেপিতে থাকবো এবার ঠিক করবেন দল তাকে কোন কাজে লাগাবে সংগঠনের”।
এছাড়া শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, “মন্ত্রিসভায় কাকে জায়গা দেওয়া হবে বা কাকে সুযোগ দেওয়া হবে সেটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার, বাংলার একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি অত্যন্ত খুশি যে বাংলা থেকে ৪ জন গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ নিশীথ প্রামানিক, শান্তনু ঠাকুরের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন, আমন্ত্রণ পেয়েছেন তারা”।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও এদিন শুভেন্দু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলের দাম নির্ধারণ করে না আপনারা মানুষকে ভুল বোঝাবেন না। আমি মানুষের জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের কষ্ট দুঃখের প্রতি সহানুভূতি থাকব। কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন না এই যে ব্যাখ্যাটা কেউ কেউ করছেন সংবাদমাধ্যম এবং তৃণমূল কংগ্রেস বেশি করে বলছে এটা ঠিক না আমি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকার পরিচালিত সরকারকে অনুরোধ করব এতদিন এত বেশি বিধান পরিষদ করতে চাইছেন বলছেন আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর তাহলে আপনারা ৩৮ টাকা যে ট্যাক্স নিচ্ছেন তার ২০ টাকা ছাড় ঘোষণা করে দিন আমরা বিধানসভায় অভিনন্দন জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করব, আজকে যে তিন চার পাতার বাজেট এত বড় বই অন্তর্বর্তী বাজেট চার মাসের এখানে দুটো পৃষ্ঠা খরচ করেছেন পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির রাজ্য সরকার এত বেশি উদ্বিগ্ন তাহলে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে”।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.