নিজস্ব সংবাদদাতা: “বয়স পেরিয়ে গেলে এমনিতেই যুব মোর্চার পদ ছেড়ে দিতে হয়, এটা নতুন কিছু নয়। আমি কি সারা জীবন যুব মোর্চা করব!” দলের তরফে রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানোর তোড়জোড়ের মাঝেই এই মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
রবিবার বিষ্ণুপুর শহরের একটি বেসরকারী লজে দলের সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে শুভেন্দু-সৌমিত্র সাম্প্রতিক দ্বৈরথ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “কোন রাগ নেই। তবে রাজনীতিতে রাগ-অভিমান ওটাও চলে, আবার রাজনীতি-কূটনীতিও চলে”।
কিছুদিন আগে তাঁকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন ‘এক গাছের ছাল অন্য গাছে লাগানো যায় না’। এদিন সেই প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দুধ জলে মিশে গেলে কি জলটাকে আলাদা করা যায়!”
এদিন ‘আত্মবিশ্বাসী’ সৌমিত্র খাঁ বলেন, “বিধানসভায় বিষ্ণুপুরে ৫-১ করেছি”। এবার পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা তৃণমূলকে ‘শূন্য’ করতে চান বলেই দাবি করেন তিনি।
এদিন রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ শহরে পৌঁছানোর আগে থেকেই অসংখ্য কর্মী- সমর্থক স্টেশন চত্বরে ভিড় করেন। সেখান থেকে মিছিল করে ‘সৌমিত্রদা জিন্দাবাদ’ আওয়াজ তুলে তাঁরা সপারিষদ সৌমিত্র খাঁর সভাস্থলে হাজির হন। এদিনের সভায় সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থী সহ ঐ এলাকার বিজেপির পাঁচ বিধায়ক সহ অন্যান্যরা।