প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুর ডেবরা থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মোট 30 টি এফআইআর রয়েছে। সেই কারণে কিভাবে তিনি লড়াই করবেন তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ভারতী ঘোষ। তার আইনজীবী আদালতে বলেন, ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে প্রচুর এফআইআর করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার কারণে বারবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ এবং সিআইএসএফ এর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছেন তারা হয় ধর্ষণে নয়তো পাচারে অভিযুক্ত। 13 ই মার্চ ডেবরার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা। রাজ্য সরকার ভারতী ঘোষ কে আটকাতে এই কৌশল নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভূষণ বিধানসভা নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত ভারতী ঘোষের গ্রেপ্তারের ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। বিচারপতি বলেন, পুলিশ এফআইআর করেছে। কমিশন করেনি। তাই পুলিশ কমিশনের অধীনে নেই এটা বলা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, তাকে গ্রেফতার করতে চাইছি না। যে আদালতে তার নামে মামলা চলছে সেই আদালত তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি সেখানে হাজিরা দেন না। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সবকিছু। রাজ্য পুলিশের নিয়ন্ত্রণে কমিশন নেই। বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন হুমায়ুন কবীর এবং বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষ। মুখোমুখি দুই প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি স্বস্তি পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জানানো হয়েছে 10 মে পর্যন্ত ভারতী ঘোষ কে গ্রেফতার করা যাবে না। তিনি ডেবরার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারবেন।