আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু আপনারা কি জানেন গত বছর থেকেই সিঙ্গুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। সেই কারণে সিঙ্গুরের বিদায়ী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে বেচারাম মান্না কে পাঠিয়েছিলাম। বেচাকে বললাম মাষ্টার মশাই কে বোঝা। যদি উনি অন্য কোনো আসন থেকে দাঁড়ান। বেচা বলল মাস্টারমশাই অন্য কোনো আসন থেকে দাঁড়াতে চাইছেন না। এই আসন ছাড়তে রাজি নন। তখন বললাম ঠিক আছে। কোনো সমস্যা নেই। সিঙ্গুরে আমার আবেগ ছিল। তাই চেষ্টাও করেছিলাম। এই কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলীয় সভায় থেকে তিনি সিঙ্গুর থেকে দাঁড়াতে চান বলে জানান। তবে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য রাজি না হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারেননি। তৃণমূল কংগ্রেস রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেনি। দলের নীতি মেনে তাকে প্রার্থী করা হয়নি। তারপরেও সিঙ্গুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন প্রার্থী হননি সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মমতা আরো বলেন, মাস্টারমশাই কিভাবে বিজেপির প্রার্থী হলেন। মাস্টার মশাই কে সম্মান করি। তার বয়সকেও সম্মান করি। আমি বলেছিলাম আপনি সকলের বয়োজ্যেষ্ঠ। আপনি আমাদের পরামর্শ দিন। আপনাকে কোনো একটা উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান বা কিছু একটা করে দেব। সেখানে আপনি সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুরে বেচারাম মান্না এবং হরিপালে বেচারাম মান্নার স্ত্রী করবি মান্নাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অনেকে বলেন তৃণমূলের আমলে সেইভাবে কোনো উন্নয়ন দেখা না গেলেও বেচারাম মান্নার প্রতিপত্তি বৃদ্ধি হয়েছে। দলীয় সভায় মমতা বলেন, মাস্টারমশাই আপনি বাড়িতে থেকে সম্মান বাঁচান। আপনি ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। এই বিষয়ে মাস্টারমশাইয়ের অনুগামীরা বলেন, একজন প্রার্থীকে বাড়িতে থাকতে বলার মানে কি। দিদিমণি কি ভয় দেখাতে চাইছেন। কোনো লাভ হবে না। লোকসভায় টের পেয়েছেন। এবারেও টের পাবেন। লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হয়। সিঙ্গুর হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। সিঙ্গুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি লিভ পেয়েছিল।