নিজস্ব সংবাদদাতা: শান্তিপুরে আক্রান্ত হয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এদিন সেই বিষয় নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও বিধায়ক পার্থদা কাজ করতে গিয়েও আক্রান্ত। ৯ জন আহত৷ ৩ জন হাসপাতালে। এটাই বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার প্রকৃত ছবি। আজ উপনির্বাচনের সময় এটাই বিরোধীদের অবস্থা”।
এদিন শমীক বাবু কিষান রেল নিয়ে নানান কথা বলেন। তাঁর কথায়, “বাঁশ থেকে উৎপাদিত নানা তন্তু দিয়ে শিল্পকে উৎসাহ দিতে ১০০০ কোটি কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে। কিষান রেল প্রতি শুক্রবার তারকেশ্বর থেকে ডিমাপুর যাচ্ছে। আগে ফসল বহনের ৫০ শতাংশ সাবসিডি দিত সরকার। এখন টিকিট বুকিংয়ের পরই সে টাকা পাবে। জগন্নাথ সরকার গেদে থেকে শিয়ালদহ আরেকটি কিষান রেলের সূচনা করেছেন। লকেট, দিলীপদাও চেষ্টা করছেন। যন্ত্রাংশের জন্য সরকার সাহায্য করছে”।
‘রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে অভিষেককে হেনস্থা করা হচ্ছে’ এদিন এমনই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শমীক বাবু তার পালটা জবাব দেন এদিনই। তাঁর কথায়, “রাজনৈতিকভাবে না পেরেই উনি এসব বলছেন। উনি ভোটে না জিতে মুখ্যমন্ত্রী, আরেকজন ওকে হারিয়ে বিরোধী দলনেতা। এটা তো মাথায় রাখবে। প্রতিহিংসার কথা ওনার বলা উচিত নয়”।
‘বিজেপি পুজো বিরোধী’ কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের এদিন পালটা জবাব দেন শমীক ভট্টাচার্য। “তৃণমূলের থেকে পুজো শিখব না। কিন্তু এটা জানি, আমরা উদ্বোধন করায় এক সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয়। আমি জানি, ওদের জোর করে ভিখারি সাজান হয়েছে। পুজো কমিটি কেউ ভিক্ষে করতে আসেনি”৷