Rajib Ghosh– নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। শুধু বালির গাড়ির টাকা তোলার জন্য তৃণমূলের কথা শুনতে হবে। বলছে মাঠ পরিবর্তন করতে হবে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তাই মাঠ বদল করতে হলো। কোনো শক্তি নেই এবার ডবল ইঞ্জিন সরকারকে আটকায়। সরকার আমাদের হবেই। তাই বলবো ব্যবহার বদলে ফেলুন। 15 ই মে এর পর বিজেপির নেতাদের কাছেই আপনাদের আসতে হবে। আপনারা এইসব করে মমতা ব্যানার্জিকে এবারের ভোটে উতরাতে পারবেন না। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি দলীয় জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। সেখানে আরও বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। তবে যে সমস্ত জায়গায় ভোট করা গিয়েছে সেখানেই পদ্মফুল জয়লাভ করেছে। এই জেলায় তৃণমূল নামক পার্টিটা থাকবে না। কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির লড়াই হবে। বহু নির্বাচনে লড়াই করেছি। তৃণমূল কংগ্রেসের যথেষ্ট খারাপ ফলাফল এখানে হবে। এরপরেই শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, যদি শুভেন্দু অধিকারীর মূল্য না থাকে তাহলে মাননীয়া আপনি নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে গিয়েছেন কেন? নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাবো। লিখে রাখুন। তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। এরপরে যারা খাতায়-কলমে কংগ্রেস এবং সিপিএম এর বিধায়ক রয়েছেন অথচ তৃণমূলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের কথা বলেন তিনি। কয়লা বালি পাচারের প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্যে বলেন, কোন বাংলার মহিলার থাইল্যান্ড ব্যাংকে একাউন্ট আছে? কোন বাংলার মহিলা এয়ারপোর্টে সোনা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে? বাংলার মহিলারা এসব করে না। বাংলার মহিলারা মা সারদা ভগিনী নিবেদিতার আদর্শে দীক্ষিত। তারা এই কাজ করে না। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। এরপর তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির ভোট, সমবায় সমিতির ভোট, এই গণতন্ত্র আপনাদের ফিরিয়ে দেব। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তাই বলছি বিজেপির সরকার এলে মিথ্যাশ্রী পুরস্কার চালু করা হবে। সেই পুরস্কার পাবেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তোলাশ্রী পুরস্কার দেয়া হবে তার তোলাবাজ ভাইপোকে।তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের দলীয় সভায় তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।