নিজস্ব সংবাদদাতা: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে পুরসভা অভিযান ছিল বিজেপির। তবে সেই ভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত দেখাতে পারল না গেরুয়া শিবির। ফলে গর্জালেও, সেই অর্থে বর্ষালো না তারা। পুলিশি নজর এড়াতে রুট পরিবর্তনও করে গেরুয়া শিবির। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের কাছেই মিছিল আটকে দিল পুলিশ। সায়ন্তন বসু-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আটক করা হয়েছে এদিন।
জুনেই সামনে আসে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে চলা দেবাঞ্জন দেবের ভ্যাকসিনের ক্যাম্পে টিকা নেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। তবে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয়। কলকাতা পুরসভায় অভিযোগ জানান তিনি। তাতেই সামনে আসে দেবাঞ্জন দেবের প্রতারণার সাতকাহন। এই ঘটনার পরই বিজেপি বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে। যাতে দেখা যায় রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে রয়েছে দেবাঞ্জন। আর তারপর থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডকে হাতিয়ার করে শাসকদলের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছে বিজেপি। যদিও SIT গঠন করে দেবাঞ্জন দেবের এই কাণ্ডের তদন্ত চলছে।
এদিন তারই প্রতিবাদে পুরসভা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। তবে রাজ্যজুড়ে করোনা মোকাবিলায় বিধিনিষেধ জারি থাকায় মিছিলের অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। রবিবারই চিঠি লিখে তা বিজেপিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। জোর করে মিছিল করলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে মিছিল হবে বলেই জানিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী মিছিল শুরু হয়। ওয়েলিংটন স্কোয়ার হয়ে এসএন ব্যানার্জী রোড ধরে মিছিল যাওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে আচমকাই রুট বদল করা হয়। গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ ধরে এগোতে থাকে মিছিল। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মিছিল আটকায় পুলিশ। প্রশাসনিক বাধা অগ্রাহ্য করে মিছিল এগনোর চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ আটকাতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এরপর পুলিশ একে একে সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পল-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতানেত্রীকে আটক করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্তব্ধ হয় বিজেপির মিছিল। এবং সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে শুরু হয় যান চলাচল।