নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ধরনের ঘটনা রাজ্যবাসী দেখেছে এবং পরবর্তীকালে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে সেই একই চিত্র দেখা গেছে! যেখানে শাসক দলের এক বিধায়ক বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছে বিরোধীদলের বিধায়ক কে! সেখানে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়’। এদিন কার্যত এই ভাবেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার কথায়, “স্বচক্ষে দেখেছি কিভাবে গণতন্ত্র লুট হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে! তাদের কাছে এসব কথা মানায় না!
কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা অবশ্যই হবে, তৃণমূলের কোন লোকের কথা তাদের বক্তব্যে বিশ্বাস নেই অভিষেক ব্যানার্জি তার বক্তব্যের প্রায় সব কথাই মিথ্যা কথা বলে!”
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রচার প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত বাবু বলেন, “কমিশন যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবে আমরা কলকাতা পৌরসভার ভোটের প্রচারে যাব কমিশনের নির্দেশ অমান্য হবে না কারণ ওটা একটা সাংবিধানিক বডি”।
কিছুদিন আগেই আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঝাড়গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন একজন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গাধা হাসবে পুলিশের এ কথা শুনে, এটা পুলিশের কাজ কেননা যে কোনভাবে তাকে জেলে ঢুকাতে হবে, তাই যে কোন উপায় আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে দিয়েছে পুলিশ! ও তাকে গ্রেপ্তার করেছে! যদি ওই নেতার ক্ষমতা থাকতো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরার তাহলে বিজেপির লোক বিধানসভার ভোটের পর বিজেপির লোকেরা ঘরছাড়া আর থাকতো তৃণমূলের লোকেরা ঘর ছাড়া হত! পাওয়ার নিয়ে বৈঠক অভিষেকের
পাহাড় সমস্যা নিয়ে বৈঠকের করছেন তিনি জানেন না তিনি কোন সরকারি পদে নেই! কিন্তু তিনি তো ডায়মন্ডের সংসদ! দলীয় কোনো বৈঠক হলে সেটা তার কাছে জানা নেই!”
নমিনেশন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবুর দাবি, “হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর ফলে প্রার্থীপদ তুলে নেওয়া হয়েছে!” একই সাথে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ভোট লুটের জন্য এই সমগ্র ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ! যাতে করে রাজ্য পুলিশ ভোট কড়াই! সুপ্রিমকোর্টে হামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ বিষয়ে রায় পাওয়া যাবে বলে তারা আশাবাদী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে তাদের এই দাবির সুপ্রিম কোর্ট হয়তো মান্যতা দেবে!”