নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকার ও বিজেপিকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দেগে বলেন, “ছাত্র রাজনীতি, যুব রাজনীতি এমনই রাজনীতি শিকড় এর গভীরে নিমজ্জিত। আমি চাই ছাত্র যৌবন নতুন সমীকরণ হোক। তাই ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়া এই কাজ সম্পন্ন হতে পারে না”।
এরপরই তিনি সিবিআই ইস্যুতে সরব হন। বলেন, “দিল্লি যখন রাজনীতিতে পারে না তখন সিবিআই এর মতন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে লেলিয়ে দেয়। আমরা আসার পর তিরিশটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ত্রিপুরাতে আসামে গুজরাট ইউপিতে সরকারি কর্মচারীরা ঠিকমতো মাইনে পায় না। ত্রিপুরা যায় ১০ হাজার শিক্ষক। শিক্ষক ছাঁটাই বাংলায় এরকম হয়না। আমাদের সময় ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছি। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। দেশে ৪৫% বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলায় ৪০% বেকারত্ব কমে গেছে। ১০০ বছর বাংলায় বিদ্যুতের অভাব নেই। লেদার কমপ্লেক্স-এ ৫ লক্ষ চাকরি হয়েছে। ৬৮ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হয়েছে। দেশকে বিক্রি করছে কেন্দ্র”।
“কয়লা চুরির কেসে তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা তৃণমূলের নয়? কয়লা খাদান নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফ। তারপরেও রাজ্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। রাজনীতিতে লড়ুন অভিষেকের সাথে পার্থর সাথে। তুমি ইডি দেখালে আমি বস্তা ভরে ইডির কাছে কাগজ পাঠাব। বিজেপি সরকার দানবীয়। দেশের মাটি কি বিক্রি করা যায়? ভোটের সময় যত মন্ত্রী নেতা এসেছিল আসানসোলে কোল মাফিয়াদের হোটেলে ছিল। রাজনীতিতে সৌজন্যতা বজায় রাখা দরকার। প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি।গুজরাটের কম ইতিহাস আমরা জানি না। রাজনীতির সৌজন্যতা রাজনীতি। ত্রিপুরা আসামে আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল। মানবাধিকার কমিশন বাংলায় ত্রিপুরায় নয় কেন? প্রতিদিন ত্রিপুরায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। ভোট পরবর্তীতে ১৬ জন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু। হাথরসে তৃণমূলকে ঢুকতে বাধা। নির্বাচন আইন সংশোধন করুক কেন্দ্র। পিএম কেয়ার টাকা কোথায় গেল? সংসদ ভবন বানানো হচ্ছে অথচ ভ্যাকসিন নেই। জনগণকে দিয়ে ফাঁকি চলবেনা বিজেপির চালাকি। মনে রাখবেন বিজেপির দুটো কাজ আর তা হচ্ছে গুলি চালানো একটা হচ্ছে গালি দেওয়া। ওরা চমৎকার কিছু জানেনা ওরা জানে শুধু মিথ্যার পর মিথ্যা বলতে। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। উদ্ভব অরবিন্দর সাথে অন্যায় হয়েছে। ভোটের সময় আমাকে নন্দীগ্রামে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ২০২৪ এ দিল্লিতে খেলা হবে। খেলা হবে ত্রিপুরাতেও। মানুষের আয়নায় দেখা যাচ্ছে বিজেপির ভবিষ্যৎ। মানুষকে ফাঁকি দিলে ঠকতে হবে”।

5 COMMENTS

Comments are closed.