নিজস্ব সংবাদদাতা: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া নিয়ে মঙ্গলবার শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। কারণ এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা নিজেই। এদিন নিয়ে তৃতীয়বার শুনানি হল। এদিন বিধানসভায় আসার কথা ছিল মুকুল রায়ের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি। পত্র মারফত বিধানসভার স্পিকারকে তা অবগত করেছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়।
এদিন বিধানসভার স্পিকারের কাছে শুভেন্দু অধিকারী তার আইনজীবী ও দলীয় বিধায়ক অম্বিকা রায়কে নিয়ে স্পিকারের শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন। ১৩ মিনিটের শুনানি চলে বিধানসভার স্পিকারের ঘরে। তার অভিযোগ মুকুল রায় যে আবেদনপত্র স্পিকারের কাছে দিয়েছেন তা ত্রুটিপূর্ণ। মুকুল রায়ের আবেদনপত্রে তার বয়স এবং তারিখ উল্লেখ করা নেই।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া নিয়ে এদিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “যদি আদালতের উপর ভরসা থাকে সেখানে যে কেউ যেতে পারে। কিন্তু মুকুল রায় যে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন তা ত্রুটিহীন তাই তার আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর সময় দেওয়া হয়েছে।
এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিক সম্মেলন করলেও সেখানে তার পিতা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে একই অভিযোগ করা হয়েছে লোকসভার স্পিকারের কাছে। অর্থাৎ রাজ্য বিধানসভায় একজন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে একদিকে বিধানসভা অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের ছোটাছুটি করছেন শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু তার পিতা শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।