আপনারা আন্দোলন করবেন। বক্তৃতার সময় দুলাইন বলবেন। মোদীর বিরুদ্ধে বলবেন। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলবেন। আপনাদের সিঙ্ঘু বর্ডার নিয়ে কথা বলবেন। মোদীর নিস্পৃহতা নিয়ে কথা বলবেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু অনুগ্রহ করে দুটো লাইন পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অবশ্যই বলবেন। ফসল বীমা কেন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না?কটাক্ষ করে এই কথা বললেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যে কৃষক আন্দোলনকারীরা এসে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে বক্তব্য রাখবেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন। শমীক আরো বলেন, তাদের কাছে আরও আবেদন জানাচ্ছি ভবানীপুরে যত কৃষক বাস করেন ততো কৃষক অন্য কোনো জায়গায় নেই। তাই তারা ভবানীপুর কে বেছে নিয়েছেন। আপনারা আসুন। আপনাদের আন্দোলন জীবিদের সঙ্গে নিয়ে আসুন। এর পরেই তিনি জানান, আগামীকাল সেই ভদ্রলোক আসছেন যাকে এই রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে হোদল কুতকুত বলে সম্বোধন করা হয়েছে। দুদিনের জন্য আসছেন। 14 তারিখ ভগবান বিরসা মুন্ডা সিধু কানহু সম্মান যাত্রার শুভারম্ভ করবেন তিনি। এই যাত্রা নয়াগ্রাম গোপীবল্লভপুর ঝাড়গ্রাম কেশিয়াড়ি বিনপুর সংলগ্ন এলাকার মধ্যে দিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সময় অন্যান্য রাজ্য থেকে দলের নেতাকর্মীরা আসেন। আবার অন্যান্য রাজ্যের যখন নির্বাচন হয় যেখানে বাংলা ভাষাভাষীরা আছেন সেখানে এখান থেকেও বক্তা নেতারা যান। এটাই বিজেপির পরম্পরা। শিশির অধিকারী সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভূমিকা মেদিনীপুর জেলার মানুষ জানে। তিনি কার্যত বহু অনামী মানুষকে নেতা তৈরী করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস কে ডেকে নিয়ে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে যিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন তার নাম শিশির অধিকারী। মানুষ চাইছে শিশির অধিকারী কে বিজেপির পতাকার নিচে। মা-মাটি-মানুষের প্রতীক হয়ে গেছে এখন পদ্ম ফুল। পশ্চিমবঙ্গে 8 দফা থেকে দুই দফায় নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। এটাই বিজেপির লক্ষ্য জানান শমীক ভট্টাচার্য।