নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। তাতে লেখা হয়েছে,’শাসক দলের কর্মীরা যেভাবে হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। আইনের শাসন নেই। শাসকের শাসন চলছে’। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ধরে ঘটনার পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। রয়েছে ‘দাগী দুষ্কৃতী’দের তালিকাও। সেখানে নন্দীগ্রামে মমতার নির্বাচনী এজেন্ট থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিধায়কদের নাম রয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
দিনহাটার উদয়ন গুহ, উল্টোডাঙার জীবন সাহা, শেখ জাহাঙ্গির, বর্ধমান সদরের খোকন দাস, নন্দীগ্রামে শেখ সুফিয়ান, সন্দেশখালির জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক এবং ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লার নাম রয়েছে মানবাধিকার কমিশনের ‘দাগী দুষ্কৃতী’ তালিকায়।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তাঁর নাম দেখে বিস্মিত নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়,”আমি জীবনে কোনওদিন মাছি পর্যন্ত মারিনি। সেখানে আমার নামে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে দেখিয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একবার কলেজ ভোটে সিপিএম আমলে মিথ্যা কেস ছাড়া কোনও কিছুতেই নাম নেই। এই রিপোর্ট কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা বোঝা যাচ্ছে। দল যা বলবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে মানহানির মামলা করব”। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “অত্যন্ত নীতিহীন কাজ করেছে। দল যা নির্দেশ দেবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব”।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের প্রতিক্রিয়া, “নির্বাচন ঘোষণার পর বিজেপি ঘর ভেঙেছে। মানুষ খুন করেছে। থানায় একটাও ডায়েরি নেই অথচ কুখ্যাত বলছে কমিশন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা”।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “রিপোর্টের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা বিজেপির মনোনীত। এরা বিজেপি তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছে। তার জবাব দেবে রাজ্য সরকার”।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.