নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের কাছে তীব্র ভর্ৎসনার স্বীকার হতে হল রাজ্যকে। শুক্রবার রাজ্যকে একাধিক বিষয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। রাজ্য পুলিশের ভূমিকাতেও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত।
শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ভার নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি অভিযোগ এসেছে সমস্ত ঘটনায় পুলিশকে আলাদা আলাদা মামলা রুজু করতে হবে। শুধু তাই নয়, ফৌজদারি বিধির ১৬৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযোগকারীর গোপন জবানবন্দি নিতে হবে। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের যাতে আর কোনও অসুবিধায় না পড়তে হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। হিংসায় অনেকের ঘরবাড়ি পুড়েছে, সেক্ষেত্রে রেশন কার্ড হারানোর একটা সম্ভাবনা থাকছে। কারও রেশন কার্ড হারালেও নতুন করে তাঁর রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকেই। বেলেঘাটায় ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিত সরকার নামের এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। দ্বিতীয়বার তাঁর দেহের ময়না তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশেই গত ২৪ জুন মানবাধিকার কমিশনের সাত সদস্যের কমিটি রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসেন। শুক্রবার আদালতে মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ২৮ জুন পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। রাজ্যের মোট ১৬৮টি জায়গায় ঘুরে দেখেছেন তারা। এমনকি মানবাধিকার কমিশনের তরফে রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সময় চাওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে কমিশনের তরফে।